,

গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘর প্রদান উদ্বোধন উপলক্ষ্যে নবীগঞ্জে প্রশাসনের প্রেস কনফারেন্স

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ‘ক’ তালিকার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ২য় পর্যায়ে গৃহ প্রদান ও শুভ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে নবীগঞ্জে প্রেস কনফারেন্স করেছে উপজেলা প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের হলরুমে নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এ প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বলেন সারাদেশে ভূমি ও গৃহহীন ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৬২২ পরিবারকে বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার এই ধারাবাহিকতায় নবীগঞ্জ উপজেলায় ১ম ও ২য় পর্যায়ে মোট ১৭০ জন ভুমি ও গৃহহীন পাচ্ছেন তাদের নতুন ঠিকানা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষিকী মুজিববর্ষে এটিই হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেষ উপহার। ২০২০ সালের ৭ মার্চ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষনা দিয়েছিলেন যে, দেশের একটি মানুষও গৃহহীন বা ভুমিহীন থাকবে না। এরই ধারাবাহিকতায় এ উপজেলায় ১৭০টি ভুমিহীন গৃহহীনদের এলাকা ভিত্তিক নির্মিত গৃহের তথ্য, ১ম পর্যায় (১১০টি), নির্মাণ ব্যয় ১,৭১,৫০০/- (এক লক্ষ একাত্তর হাজার টাকা) মোস্তফাপুর ০৮টি, হৈবতপুর ০৩টি, কামড়াখাই শৈলা ২৭টি, স্বস্থিপুর ০২টি, বৈঠাখাল ১৭টি, ববান ০৪টি, মান্দারকান্দি ৪৬টি, উলুকান্দি ০৩টি। ২য় পর্যায় ৬০টি, নির্মাণ ব্যয় ১,৯০,০০০/= (এক লক্ষ নব্বই হাজার টাকা) হৈবতপুর ০৭টি, কামাড়াখাই ১৬টি, শৈলা/গড়শৌলা ০২টি, কাজিরগাঁও কুরিশাইল বড়শাখোয়া ০৩টি, বৈঠাখাল ৩৬টি, জালালপুর ০১টি। তিনি আরও জানান গৃহের জমি নির্বাচনের ক্ষেত্রে উচু ভূমি চিহ্নিত ক্রমে দখল মুক্ত করে স্থান নির্বাচন না হয়। গৃহহীন ও ভূমিহীনদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে তিনটি স্থরে যাচাই বাছাইপূর্বক উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে তালিকা চুড়ান্ত করা হয় এবং জেলা প্রশাসকের অনুমোদনক্রমে ৫২ শতক করে জমি বন্দোবস্ত প্রদান করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদূর প্রসারী চিন্তা চেতনার ফলে জমির দলিল সম্পন্ন ও নামজারী ফি সরকারী ভাবে বহন করা হয় ও গৃহ সমজানোর পূর্বেই দলিল ও নামজারী সম্পূর্ণ পূর্বক সমজিয়ে দেয়া হয়। দেশের বিপুল সংখ্যক ভূমিহীন এ শহর মানুষকে নিজস্ব ঠিকানা অথাৎ জমির মালিকানাসহ সরকারী খরচে বাড়ি নির্মাণ করে দেওয়ার মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের ন্যায় অত্র উপজেলায় চির স্মরনীয় হয়ে থাকবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ১ম পর্যায়ে ১১০টি ও ২য় পর্যায়ে ৬০টি ঘরের বরাদ্দ আসে। তার মধ্যে ১ম পর্যায়ের ১১০টির মধ্যে ১০২টি ঘরের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ৬৬টি পরিবারকে প্রথম পর্যায়ের ঘর বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের ২০ জুন তারিখে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। ৮টি ঘরের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া ২য় পর্যায়ের ৬০টি ঘরের মধ্যে ৪০টি ঘরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। অপর ২০ ঘরের বরাদ্দ ১৩ জুন আসে। তিনি বলেন, আমাদের উপজেলায় অত্যান্ত ভালোভাবে একাধিক বার যাচাই-বাছাই করে সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে, যেসব নামে অসঙ্গীত ও অভিযোগ ছিল সেইগুলো আমরা সংশোধন করেছি। ঘরগুলোর গুণগত মানও অনেক ভালো। এ সময় অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আজিজুল হক, নবীগঞ্জ থানার ওসি (অপারেশন) আব্দুল কাইয়ুম, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ছাদু মিয়া, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. হাফিজুল ইসলাম, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পজীব) সাকিল আহমেদ, নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ ফয়ছল আহমেদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নুসরাত ফৌরদৌসী, উপজেলা তথ্য সেবা কর্মকর্তা নাহিদা আক্তারসহ নবীগঞ্জ প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ।


     এই বিভাগের আরো খবর