,

হবিগঞ্জে ক্লিনিক ও নার্সের অপচিকিৎসায় এক প্রসূতি নারীর মৃত্যুর অভিযোগ

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহরে ক্লিনিক ও নার্সের অপচিকিৎসায় এক প্রস্রুতি নারীর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অল্পের জন্য নবজাতক বেঁচে গেছে। এরকম একটি ঘটনা নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় চলছে। কেউ বলছে, নার্সের কারণে আবার কেউ বলছেন চাঁদের হাসি ক্লিনিকে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে পরস্পর বক্তব্য পাওয়া গেছে। জানা যায়, চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের সফিকুল ইসলামের স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (৩৫) প্রস্রুতি ব্যথা নিয়ে গতকাল শুক্রবার দুপুর দিকে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার বাল্লা গেইট এলাকার কুতুব আলীর স্ত্রী হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের নার্স শিরিনা বেগমের কাছে যান। সেখানে যাবার পর ওই নারীর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ডেলিভারী করান ওই নার্স। তখন একটি নবজাতকের জন্ম হয়। এক পর্যায়ে ওই নারী অজ্ঞান হয়ে যান। তখন ওই নার্স তার স্বামীকে হবিগঞ্জ এর চাঁদের হাসি ক্লিনিকে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন। তাৎক্ষনিক তার স্বামী চাঁদের হাসি ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। সেখানে চিকিৎসা দেয়ার পর কিছুটা নড়াচড়া করলেও বিকাল ৩টার দিকে ফের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই নারী। তখন ওই ক্লিনিকের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাবার জন্য বলেন। সেখানে নিয়ে যাবার পর তাসলিমাকে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। এরপর সদর হাসপাতালে চলে হৃদয়বিদারক কান্নার ঝড়। স্বজনদের অভিযোগ, শিরিনা বেগম ও চাঁদের হাসি ক্লিনিকের চিকিৎসকদের অবহেলায় তাসলিমার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে তারা আইনের আশ্রয় নেবেন। এ বিষয়ে নার্স শিরিনা বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে জানান, তিনি সদর হাসপাতালের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স। এক সপ্তাহ আগে তাসলিমা তার কাছে এসেছিল। তিনি চিকিৎসা করেন। গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের আগে আসে। তখন তার অবস্থা তেমন একটা ভালো ছিলোনা। একটি ব্যথার ইনজেকশন ও স্যালাইন পুশ করার পর নবজাতক জন্ম নেয় এবং তার অবস্থাও ভালো ছিল। পরে তার উন্নত চিকিৎসার জন্য স্বামী সফিকুল ইসলাম একটি সিএনজিযোগে চাঁদের হাসি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে যাবার পর কি হয়েছে আমার জানা নেই। তবে আমার কাছ থেকে সে জীবিত অবস্থায় গিয়েছে। বিকাল ৪টার দিকে খবর পাই তাসলিমা মারা গেছে।
চাঁদের হাসি ক্লিনিকের পরিচালক সম্রাটের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাসলিমাকে নিয়ে আসা হয়েছিলো ঠিকই। তবে রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তাদের ধারণা, নিয়ে আসার সময়ই মারা গেছে। তাই স্বজনদের কিছু না বলে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেয়া হয়। তাদের এখানে মারা গেছে বিষয়টি ঠিক নয়।
সদর হাসপাতালের ডাক্তার সুষ্মিতা সাহা জানান, তাসলিমাকে মৃত অবস্থায় নিয়ে আসা হয়। তার ধারণা সদর হাসপাতালে আসার ঘণ্টাখানেক আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে সে মারা যায়।


     এই বিভাগের আরো খবর