,

সিলেটে স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার বাহুবলের ৬ সন্তানের জননী মাহমুদা

সংবাদদাতা ॥ সিলেটের লালাবাজার পশ্চিমভাগ এলাকায় স্বামীর নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন বাহুবলের এক দিনমজুর অসহায় মায়ের মেয়ে ৬ সন্তানের জননী মাহমুদা বেগম। এ ঘটনায় মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে স্বামী আবুল কালামের বিরুদ্ধে বাহুবল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা যায়, বাহুবল উপজেলার ৩নং সাতকাপন ইউনিয়নের বর্তমানে চলিতাতলা ও নারকেলতলা গ্রামের বাসিন্দা অসহায় বয়লার শ্রমিক দিপা বেগম ও সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে মাহমুদা বেগমকে প্রায় ১৮ বছর পূর্বে ইসলামী শরা-শরীয়ত মতে বিয়ে দেন সিলেট লালাবাজার পশ্চিমভাগ এলাকার মৃত ইরশাদ আলীর ছেলে আবুল কালামের সাথে, বিয়ের পর সংসারে অভাব অনটন থাকলেও প্রায় ১০/১২ বছর মোটামুটি সুখে শান্তিতে ছিল মাহমুদা ও আবুল কালামের সংসার। গত ৬/৭ বছর যাবত প্রতিবেশী এক বিধবা নারীর পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে আবুল কালাম, লোক মুখে আবুল কালামের পরকীয়ার কথা স্ত্রী মাহমুদা ও কালামের পরিবারের লোকজন শুনতে পান, এ বিষয়ে স্থানীয় মুরুব্বিরা একাধিক বিচার শালিসও করেন, একপর্যায়ে মুরুব্বিরা আবুল কালামকে গ্রাম ছাড়তেও নিদেশ দেন, এ অবস্থায় চতুর আবুল কালাম স্ত্রী মাহমুদাকে বিভিন্ন প্রলোভন ও প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিষয়টি মিমাংসা করে নেয়। কিন্তু সরলমনা মাহমুদা বুঝতে পারেনি বখাটে আবুল কালামের চালাকি, গত ১৫ জুন দুপুরে আবুল কালামের মোবাইলে ধারণকৃত অন্য নারীর সাথে একটি কল রেকর্ড শুনতে পায় স্ত্রী মাহমুদা ও পরিবারের লোকজন, এ বিষয়ে মাহমুদা বেগম স্বামী আবুল কালামকে প্রশ্ন করলেই ছোট বাচ্চা ও স্ত্রী মাহমুদাকে মারপিট শুরু করে আবুল কালাম, একপর্যায়ে আবুল কালাম স্ত্রী সন্তানদের মারপিট করে বাড়ি থেকে বাহির করে দেয়, এ সময় মাহমুদা বেগম অবুঝ সন্তানদের নিয়ে আবুল কালামের বড় বোন আফিয়া বেগমের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সেখানে দুইদিন থাকার পর মাহমুদা বেগমের বড় মেয়ে আছমার উপর নির্যাতন চালায় আবুল কালাম, এ খবর শুনে মাহমুদা প্রতিবেশীর সহযোগিতায় পিতার বাড়ি থেকে মেয়ে আছমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। এ ঘটনায় মাহমুদা বেগম বাদী হয়ে বখাটে স্বামী আবুল কালামের বিরুদ্ধে বাহুবল মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর