,

আমরা এত নিচু মানসিকতার নই- পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সময় ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার দ্বিতীয় ডোজের ভয়াবহ সঙ্কট সত্ত্বেও চুক্তি মাফিক ভারত টিকা সরবরাহ করছে না, এ কারণে বাংলাদেশ ইলিশ পাঠাচ্ছে না মর্মে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে যে খবর বেরিয়ে তা নাকচ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি কার্যত একটি বাক্য বলে সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টের বিস্তারিত শুনে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এতো নিচু মানসিকতার নই।’ মন্ত্রী তার সদ্য সমাপ্ত যুক্তরাষ্ট্র সফর মঙ্গলবার গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেখানে তিনি উত্থাপিত সব প্রশ্নেরই জবাব দেন। সর্বশেষ প্রশ্ন ছিল পশ্চিমবঙ্গের  প্রতিষ্ঠিত দৈনিক আনন্দবাজারের করোনা টিকা এবং ইলিশ রপ্তানী বন্ধ বিষয়ক রিপোর্ট বিষয়ে। “কোভিড-টিকা পাঠায়নি দিল্লি, ইলিশও আসছে না ঢাকা থেকে, প্রশ্নের মুখে মোদীর সোনালি অধ্যায়” শীর্ষক রিপোর্টে বলা হয়- প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর বিদেশ মন্ত্রকের বহু বিজ্ঞাপিত ‘ভারত-বাংলাদেশ সোনালি অধ্যায়’-এর রং এই মুহূর্তে যথেষ্ট ফিকে। বাংলাদেশের প্রায় ১৬ লাখ মানুষ ভারতীয় করোনা প্রতিষেধকের প্রথম ডোজ নিয়ে বসে রয়েছেন। সময় পেরিয়ে গিয়েছে। ভারত জানাচ্ছে, আপাতত ভ্যাকসিনের আর একটি ডোজও পাঠানো সম্ভব নয়। ঢাকা সূত্রের বক্তব্য, বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ আর চাপা থাকছে না সে দেশে। যার সরাসরি প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে বাঙালির প্রিয় মাছ ইলিশ প্রসঙ্গে। দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে ইলিশ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বাংলাদেশের। তা সত্ত্বেও গত বছর জামাইষষ্ঠীর সময়ে পশ্চিমবঙ্গে দু’হাজার টন ইলিশ রফতানিতে ছাড়পত্র দিয়েছিল হাসিনা সরকার। কিন্তু এ বছর পশ্চিমবঙ্গের পাতে পড়েনি পদ্মার ইলিশ। বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন সরলীকরণ করাটাও ঠিক হবে-না যে প্রতিশ্রুত টিকা পাঠানো হয়নি বলেই ইলিশ রফতানি বন্ধ থাকল। কিন্তু এটাও ঠিক, দু’পক্ষের সম্পর্ক এতটাই আড়ষ্ট হয়ে গিয়েছে, ইলিশ-কূটনীতির আবহাওয়াটাই আর নেই। প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ওঠাপড়ায় ইলিশ এক কূটনৈতিক প্রতীকও বটে। এর আগে স্থলসীমান্ত চুক্তি সই করতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ঢাকায় গিয়েছিলেন, ইলিশ নিয়ে কিছুটা রসিকতার ঢংয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর। ভোজের তালিকায় ইলিশের পঞ্চপদ দেখে মমতা হাসিনাকে প্রশ্ন করেছিলেন, কেন তাঁরা ইলিশ আটকে রেখেছেন? হাসিনার জবাব ছিল, “তিস্তার পানি এলেই মাছ সাঁতার কেটে চলে যাবে ও পারে!”


     এই বিভাগের আরো খবর