,

শায়েস্তাগঞ্জে ইভটিজিংয়ের দায়ে ব্যবসায়ী আটক

শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মহলুল সুনাম গ্রামের বাসিন্দা মনজব উল্লার মেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রী সুমি আক্তারকে উত্যক্ত করার দায়ে থাই এলুমিনিয়াম ব্যবসায়ী আব্দুস সালাম ওরফে মোস্তফার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পরে আজ মঙ্গলবার (২২ জুন) ১৫১ ধারার ফৌজদারী মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। আব্দুস সালাম ওরফে মোস্তফার গ্রামের বাড়ি নাদিয়া গ্রামে। তিনি আব্দুল মন্নাফের পুত্র। মোস্তফার বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। জানা গেছে, বেশ কিছুদিন যাবৎ মোস্তফা শায়েস্তাগঞ্জ বালিকা উচ্চবিদ্যালয় সড়কে বিদ্যালয় ফটকের সামনে থাই এলুমিনিয়ামের ব্যবসা করে আসছেন। গত রোববার (২০ জুন) সন্ধ্যায় অভিযোগকারীর বড় মেয়ে এবং ছোট মেয়ে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করার জন্য বাজারে যাওয়ার পথে মোস্তফা তাদেরকে উত্যক্ত করে এবং তাকে নানারকম অশ্লীল আচরণের মধ্য দিয়ে খারাপ প্রস্তাব দেয়। একপর্যায়ে বাকবিতণ্ডা শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে মোস্তফা সুযোগ বুঝে পালিয়ে যান। পরবর্তীতে মেয়েদের বাবা বাদী হয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। উত্যক্তের শিকার মেয়েদের মা থেকে জানান, মোস্তফার বাসায় গিয়ে আমার ছোট মেয়ে প্রাইভেট পড়ত। প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে আমার মেয়েকে মোস্তফা বিভিন্নরকম খারাপ প্রস্তাব দিয়েছে। এতে আমার মেয়ে রাজি না হওয়ায় তার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন রকম হুমকি-ধমকি দেয়। এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুল জলিলের সঙ্গে কথা বললে তিনি উভয়পক্ষকে সঙ্গে নিয়ে ১৫০ টাকার রেভিনিউ স্ট্যাম্পের মাঝে লিখিত নিয়ে বিষয়টি শেষ করে দেন। পরবর্তীতে মোস্তফা মিয়া আবারও হুমকি-ধমকি দিলে আমার স্বামী বাধ্য হয়ে থানার আশ্রয় গ্রহণ করেন। এ ব্যাপারে জানতে মোস্তফার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বলেন, আমরা অভিযোগপ্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গেই মোস্তফাকে ধরেছি এবং ১৫১ ধারায় ফৌজদারী মামলায় তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছি।


     এই বিভাগের আরো খবর