,

শিশুদেরও করোনা হচ্ছে! জেনেশুনে ছেলে মেয়েদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব কি না’- প্রধানমন্ত্রী

সময় ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর এনেক্স ভবন করে বিচারক বৃদ্ধির পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রতিটি জেলা আদালত থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত যত উন্নয়ন হয়েছে সবই আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হয়েছে। এটা আমরাই করেছি; আর কেউ করেনি। আর বিএনপির সময় কী হয়েছে? ৬৩টি জেলায় আদালতে বোমা বর্ষণ হয়েছে। দুইজন জেলা জজ মারা গেছেন, কয়েকজন আহত হয়েছেন। এখন তাদের কাছ থেকে শুনতে হয় বিচার ব্যবস্থা, বিচারক নিয়োগ ইত্যাদি। শনিবার জাতীয় সংসদের সমাপনী অধিবেশনে দেয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান মন্ত্রী। এসময় শেখ হাসিনা আরো বলেন, বিএনপির আমলে ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েও বিচারপতি নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তাদের সময়ে এক ছাত্রদল নেতার ঘাড়ে হাত রেখে আলোচনা করে বিচারপতির রায় দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়াও ভোট চুরির সুযোগ তৈরির জন্য প্রধান বিচারপতির মেয়াদ বাড়িয়ে তাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান করার বিষয়টিও করেছিল বিএনপি। তিনি বলেন, বিচার ব্যবস্থা নিয়ে এখানে (জাতীয় সংসদে) বেশ কিছু কথা বলা হয়েছে। এখানে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে বিরোধী দলের উপনেতা কিছু কথা বলেছেন। আমি একটু স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশের বিচারপতি নিয়োগের যে নমুনা ছিল সেই নমুনা যদি আপনারা একটু স্মরণ করেন, প্রধান বিচারপতি কামাল হোসেন তিনি এজলাসে বসে আছেন, কিন্তু তিনি জানেন না তিনি (ওই পদে) নাই। তখন আপনার বড় ভাই তখন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতির এক কলমের খোঁচায় বিচারপতি নাই। প্রধান বিচারপতি এজলাসে বসে আছেন-তখন তাকে বলা হলো-আপনি তো নাই। রাত্রিবেলায় আপনাকে বিদায় দেয়া হয়েছে। এই হলো অবস্থা। তারপরে একজনকে দিলেন জাস্টিস মুনিম (বিচারপতি ফজলে কাদেরী মোহাম্মদ আবদুল মুনিম)। তিনিও বসতে পারেননি। যদি আমি বিএনপি ও এরশাদের আমলের কাহিনী বলতে যাই অনেক সময় লেগে যাবে। সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার দাবি জানালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা বলার জন্য বলা যেতে পারে। কিন্তু এটাও একটু চিন্তা করতে হবে, লেখাপড়া শিখবে, এ জন্য জেনেশুনে ছেলে-মেয়েদের মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব কি না। তিনি বলেন, স্কুল বন্ধের জন্য একটু ক্ষতি হচ্ছে। টিকা দেয়ার পরে আমরা সব স্কুল খুলে দেব। এর আগে আমরা যখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিলাম, তখনই সারা বিশ্বে করোনাভাইরাস মহামারি এমনভাবে ছড়িয়ে পড়ল, তার ধাক্কা এসে পড়ল আমাদের মধ্যে। এখন তো শিশুদেরও করোনা সংক্রমণ হচ্ছে। লেখাপড়া শিখবে, কিন্তু এটার জন্য জেনেশুনে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেব কি না, তা মাননীয় সংসদ উপনেতা একটু বিবেচনা করবেন।


     এই বিভাগের আরো খবর