,

চাঞ্চল্যকর পাভেল হত্যা মামলায় ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামীর মৃত্যু ॥ দাফন সম্পন্ন

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহরের চাঞ্চল্যকর তরুণ লীগ নেতা সৈয়দ রুহুল ইসলাম পাভেল হত্যা মামলায় ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামি আব্দুর রউফ মোল্লা (৫২) এর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল শনিবার যোহরের নামাজের পর নারায়ণপুর গ্রামের কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে সিলেট কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি সেখানে মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের সুপার। এর আগে দুই আসামি পাভেল আহমদ ও আব্দুর রউফ মোল্লার ফাঁসির আদেশ বহাল রাখেন হাইকোট। মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা হলো সৈয়দ গোলাম জিলানী ও শাহীন মিয়া। কারার সূত্রে জানা যায়, করোনা উপসর্গে ভুগছিলেন আব্দুর রউফ মোল্লা। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ২৩ নভেম্বর বিকেলে সৈয়দ রুহুল ইসলাম পাভেলকে তার বন্ধু ও মামলার প্রধান আসামি পাভেল আহমদসহ আরো কয়েকজন বাসা থেকে ডেকে শহরের পুরান হাসপাতাল সড়ক এলাকার রাজ ফ্যাশনে নিয়ে যায়। এরপর থেকে সৈয়দ পাভেল নিখোঁজ ছিলেন। ২৫ নভেম্বর বিকেল তিনটায় রাজ ফ্যাশন বিল্ডিং ও ডা. তপন কুমার দাশ গুপ্তের বাউন্ডারির সরু স্থানে হাত-পা বাঁধা ও মুখে স্কচটেপ আটানো বস্তাবন্দী পাভেলের লাশ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে নিহত পাভেলের স্ত্রী নাজরাতুন নাঈম মৌসুমী বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় পাভেল আহমেদ, সৈয়দ গোলাম জিলানী, আব্দুর রউফ মোল্লা ও শাহীন মিয়াসহ আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে উল্লেখিতদেরকে গ্রেফতার এবং আসামিদের তথ্য অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নিহত পাভেলের ঘড়ি, ব্রেসলেট উদ্ধার করে। আসামি আব্দুর রউফ মোল্লা ও পাভেল আহমেদ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। পরে মামলাটি হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে প্রেরণ করা হয়। ২০১৪ সালের ৪ মার্চ সিলেটের কারাগারে থাকা পাভেল ও রউফ মোল্লাকে মৃত্যুদ- এবং গোলাম জিলানী হায়দার ও শাহীনকে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রদান করেন বিচারক। রায়ের পর আসামী পক্ষ হাইকোর্টে নিজেদেরকে নির্দোষ দাবি করে আপিল করেন। দীর্ঘ ৫ বছর শুনানি শেষে আদালতের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট।


     এই বিভাগের আরো খবর