,

অপরাধী হয়েও ৯৯৯ কল অতঃপর নিজেই গ্রেফতার

উত্তম কুমার পাল হিমেল ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নে জন্তরী গ্রামে ৮ আগস্ট রবিবার বিকাল ৫ টায় গরুর বর্জ্য গোবর রাখা নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ ঘটে। নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের জন্তুরী গ্রামের চন্দন বৈদ্য ও বুলু দাসের মধ্যে গরুর বর্জ্য গোবর এ দুর্গন্ধ ছড়াবে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চন্দন বৈদ্য ও তার বড় ভাই পল্টন বৈদ্য বুলু দাসের উপর হামলা চালায়। হামলার এক পর্যায়ে চন্দন বৈদ্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে বুলু দাসের মাথায় আঘাত করে। এতে বুলু দাস গুরুতর আহত হন। পরে তার স্বজনরা তাকে নিয়ে আসে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডাক্তার রোগীর আশঙ্কাজনক অবস্থায় দেখে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায, উপজেলার করগাঁও ইউনিয়ন জয়ন্তুরী গ্রামের চন্দন বৈদ্য নামে এক ব্যক্তি ৯৯৯ কল দিয়ে অভিযোগ করেন পার্শ্ববর্তী বাডড়র বুলু দাস তার বসত ঘর ভাঙচুর করে এবং পরিবারের উপর হামলা চালায়। তাৎক্ষণিকভাবে নবীগঞ্জ থানা এএসআই মুস্তাফিজুর ও একদল পুলিশ ফোর্স সরজমিনে গিয়ে জানতে পারেন ৯৯৯ কল দেওয়া ব্যক্তি ও তার ভাই বুলু দাসের উপর হামলা চালান। ঘটনা আড়াল করতে ঘর ভাংচুরের বিষয়টি সামনে আনেন। এ ঘটনায় আহত বুলু দাসের বড় ভাই কানাই লাল দাস ৮ আগস্ট রবিবার রাতে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওইদিন রাতে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ডালিম আহমাদের নেতৃত্বে এসআই অমিতাভ দাস তালুকদার ও এএসআই মুস্তাফিজুরসহ একদল পুলিশ পুলিশ পল্টন বৈদ্যকে (৩০) পিতা: নগেন্দ্র বৈদ্য গ্রেফতার করে। মামলার প্রধান আসামী চন্দন বৈদ্যকে (২৫) পিতা নগেন্দ্র বাহুবল উপজেলা সদর ইউনিয়নের মৌরিগ্রাম থেকে গ্রেফাতার করা হয়। সোমবার ৯ আগস্ট দুপুরে আসামিদের কোর্টে প্রেরণ করা হয়। নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ডালিম আহমদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর