,

অস্বাভাবিক সময়ে সিলেট ফিরেছে স্বাভাবিক রূপে

সময় ডেস্ক ॥ করোনা যখন ঘরে থাকার বার্তা দিচ্ছে, সিলেটের মানুষ তখন সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। অস্বাভাবিক এই সময়ে চলাচল করছেন স্বাভাবিকভাবে। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ২২ জনের প্রাণহানির খবরটি যেন নস্যি সিলেট নগরের মানুষের কাছে। ফলে বিধিনিষেধ শিথিলের প্রথম দিনেই সিলেট নগর ফিরে গেছে তার চিরচেনা যান্ত্রিক রূপে। নগরের অলিগলিতে লেগে ছিল যানজট। খুলেছে দোকানপাট। কিন্তু দোকানপাট খুললেও বিকিকিনি হয়নি তেমন। অধিকাংশ বিপণিবিতান ও শপিংমলে ব্যবসায়ীরা ছিলেন ক্রেতাদের অপেক্ষায়। সেই সাথে দীর্ঘ লকডাউনের পর প্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্নতায় কেটেছে দিন। সেই তুলনায় অনেকটাই সরব ছিল ফুটপাতের কেনাবেচা। আর মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মানার প্রবণতা ছিল একেবারেই নগণ্য। ছিল যার যেমন খুশি চলাচল। আর অকারণে মানুষের ঘোরাফেরা কিংবা যান্ত্রিক নগরের চিরচেনা রূপ দেখতেই যেন মানুষের ভিড় ছিল বেশি। বুধবার (১১ আগস্ট) সকাল থেকে সিলেট নগরের অলিগলিতে দেখা গেছে মানুষের স্বাভাবিক চলাচল। ইচ্ছা হলে কেউ মুখে পরেছেন মাস্ক। আবার কেউ থুতনিতে, হাতে কিংবা গলায় মাস্ক ঝুলিয়েই দায় সারছেন। এদিকে যানবাহন খুলে প্রথমদিনই গণপরিবহণে ছিল যাত্রীদের চাপ। দীর্ঘ লকডাউন শেষে যানবাহন চলাচল শুরু করায় মানুষ ছুটেছেন গন্তব্যে। বিশেষ করে দূরপাল্লার বাসে যাত্রীদের চাপ বেশি দেখা গেছে। এমনকি ট্রেনেও ছিল সকল আসন পূর্ণ। টিকেটও শতভাগ বিক্রি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সরেজমিনে বিকেল সাড়ে ৩টায় সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায় যাত্রীদের বেশ চাপ। কেউ টিকেট কাউন্টারে ভিড় করছেন, আবার কেউ ঢাকাগামী পারাবত ট্রেনের বগিতে আসন নিয়েছেন। সেই সাথে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ থেকে প্লাটফর্মে প্রবেশের আগে যাত্রীদের শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষার দৃশ্যও দেখা গেছে। ট্রেন ভ্রমণে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহারের বার্তাও প্রচার হয় মাইকে। এ সময় কথা হয় সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার খলিলুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে একটি ট্রেন। সকাল ১১টায় ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে আরও একটি ট্রেন এবং বিকেল পৌনে ৪ টায় সিলেট স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাবে পারাবত। এভাবে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সিলেট-চট্টগ্রাম ২টি এবং সিলেট-ঢাকা ৩টি মিলে মোট ৫টি ট্রেন ছাড়া হবে। সকল ট্রেনেই শতভাগ টিকেট বিক্রি হয়েছে। অপরদিকে অর্ধেক গণপরিবহন চলাচলের নির্দেশ থাকলেও কী পরিমাণ গণপরিবহন ছাড়া হচ্ছে এর কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারেননি সংশ্লিষ্টরা। তবে সীমিত পরিসরে বাস চলাচল করেছে এবং স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ময়নুল ইসলাম।


     এই বিভাগের আরো খবর