,

আজমিরীগঞ্জ কালনী-কুশিয়ারা নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন

হাবিবুর রহমান রিয়াদ ॥ অদ্য কয়েকদিন আগে আজমিরীগঞ্জ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমান খান ও সহকারী কমিশনার ভূমি উত্তম কুমার দাস বদলী হওয়ার পরপরই ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের উৎসব শুরু হয়েছে। আজমিরীগঞ্জ উপজেলার প্রায় প্রত্যেক ইউনিয়নে এখন প্রতিদিনই কোন না কোন জায়গায় ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে বালু খেকোরা। আজকে সরজমিন খোজ নিয়ে দেখা যায় আজমিরীগঞ্জের বদলপুর ইউনিয়নের পিরিজপুর গ্রামে, সদর ইউনিয়নে ও পৌরসভার পাশ দিয়ে প্রবাহিত কালনী কুশিয়ারা নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। কালনী নদীর যে জায়গা থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে তার ২/৩ কিঃমিঃ দূরে কাকাইলছেও ইউনিয়নের বদরপুর গ্রাম প্রায় পুরোটাই কালনী নদীর গভীরে নদীভাঙ্গনে বিলীন হয়ে গেছে। জেলা প্রশাসন,স্হানীয় প্রশাসন সবাই এই ব্যাপারে অবগত রয়েছে। হঠাৎ করে বালুখেকোদের দ্বোরাত্ব্য বেড়ে যাওয়াও সাধারন মানুষ এলাকার মুখ্য ক্ষতির আশংকায় আছে। অতি শীঘ্রই বালুখেকোদের নিয়ন্ত্রণে না আনলে ভাটি অঞ্চল খ্যাত আজমিরীগঞ্জের নদীভাঙ্গন সহ মনুষ্যগৃষ্ট দূর্যোগের আশংকায় আছেন স্হানীয়রা। বালুখেকোদের অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলস্বরূপ অদূর ভবিষ্যতে কালনী নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ভাটি অঞ্চল আজমিরীগঞ্জ বড় ধরনের প্রাকৃতিক দূর্যোগের সম্মুখীন হবে বলে সচেুন নাগরিকরা মত প্রকাশ করেন। হঠাৎ করে বালুখেকোদের দৌরাত্ম বেড়ে যাওয়া এবং প্রায় প্রতিটা ইউনিয়নে প্রতিদিন ড্রেজার চলার ব্যাপারে আজমিরীগঞ্জ সহকারী কমিশনার ভূমি শফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ড্রেজার চলছে এমন সংবাদ পাওয়ার পরপরই আমিসহ উপজেলা প্রশাসন বন্ধ করার ব্যবস্থা নিচ্ছি। আর আজকে কালনী নদী থেকে বালু উত্তোলনের ব্যাপারে জানতে চাইলে উনি বলেন আমি কালনী নদীতে গিয়ে ড্রেজার পেয়েছি, তবে যে জায়গায় ড্রেজার চলছে ঐ জায়গা আজমিরীগঞ্জ উপজেলার আওতায় নয়, আমি প্বার্শবর্তী উপজেলা ইটনার উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। আজমিরীগঞ্জের সাবেক ইউএনও নাইমা খন্দকার ১৬/১১/২০১৮ সনে একই স্থানে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের অপরাধে নিয়ামত উল্লাহ নামে এক ব্যাক্তিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন,এরপর আবার সদ্য বিদায়ী এসিল্যান্ড উত্তম কুমার দাস একই জায়গায় ড্রেজার চালানোর অপরাধে একাধীকবার ড্রেজার পুড়িয়ে নষ্ট সহ মালামাল জব্দ করেন যা স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশ হয়। যদি কালনী নদীর এই অংশ আজমিরীগঞ্জ এর সীমানার অন্তর্ভুক্ত না হয় তাহলে বিগত দিনে উনারা কিভাবে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা,জব্দ,ধ্বংস করেন জানতে চাইলে সহকারী কমিশনার ভূমি শফিকুল ইসলাম জানান,আমি নতুন যোগদান করেছি,উর্ধতন কর্মকর্তাদেরকে বিস্তারিত অবগত করে পরবর্তীতে তাদের নির্দেশে পদক্ষেপ গ্রহন করব।


     এই বিভাগের আরো খবর