,

নবীগঞ্জে সরকারি নির্দেশনা মানছে না সিএনজি অটোরিকশা চালকরা ॥ বিড়ম্বনায় যাত্রীরা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি থেকে নবীগঞ্জ সিএনজি স্টেশনে এসে নামেন মাঈন উদ্দীন। সিএনজি অটোরিকশায় যাবেন হবিগঞ্জ জেলা শহরে। নবীগঞ্জ স্টেশনের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা প্রায় অর্ধশতাধিক সিএনজি অটোরিকশা চালকের মাঝে ৫-৬ জনকে জিজ্ঞেস করলে ৫০ টাকা করে ভাড়া চান। মাঈন উদ্দীন ৪০ টাকা দিলে চাইলেও রাজি হয়নি কেউ। মাঈন উদ্দীন বলেন, নবীগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ জেলা শহরের দূরত্ব ২৪ কিলোমিটার। সরকারী বিধি মোতাবেক পুর্বনির্ধারিত ভাড়া হিসেবে সর্বোচ্চ ৪০ টাকা হবে। ৪০ টাকা দিতে চাইলেও রাজি হয়নি তারা। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, নবীগঞ্জ সিএনজি অটোরিকশার চালকেরা সিন্ডিকেট করে দাঁড়িয়ে থাকেন। একজন যে পরিমাণ ভাড়া চান বাকিরা এর কমে কোনভাবেই যেতে চায় না। এ চিত্র শুধু নবীগঞ্জ শহরে নয়, সারা নবীগঞ্জ উপজেলা জুড়েই বিরাজ করছে একই চিত্র। নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে প্রায় দিগুণ ভাড়া নিচ্ছে সিএনজি চালকরা। মাঈন উদ্দীনের মতো একই অভিযোগ করেন ইনাতগঞ্জ আব্দুর রহমান। ইনাতগঞ্জ স্টেশন থেকে নবীগঞ্জ স্টেশন ১৪ কিলোমিটার পথ যেতে ভাড়া চায় ৪০ টাকা। আবার রুদ্রগ্রাম রোডে নবীগঞ্জ থেকে আইনগাঁও পূর্ব নির্ধারিত ভাড়া জনপ্রতি ৩০টাকা নির্ধারিত হলেও করোনাকালীন সময় থেকে ৪০-৪৫টাকা জনপ্রতি নেয়া হচ্ছে। এভাবে প্রতিদিন নবীগঞ্জ যাত্রীদের জিম্মি করে দুই-তিনগুন ভাড়া আদায় করছে সিএনজি অটোরিকশা চালকরা। এদিকে ১১ আগষ্ট থেকে লকডাউনে বিধিনিষেধ শিথিল করে এর নির্দেশনা তুলে নেয় সরকার অটোরিকশার ভাড়া পুনঃনির্ধারণ করে দিলেও তার কোন তোয়াক্কা করছে না তারা। বৃহস্পতিবার ১২ আগষ্ট বিকালে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী কামাল মিয়া আউশকান্দি থেকে নবীগঞ্জ সিএনজি যোগে আসতে এক সিএনজি চালক ভাড়া চান ৩০ টা কিন্তু পূর্বনির্ধারিত ভাড়া ২০ টাকা। ভাড়া নিয়ে সিএনজি চালকরা প্রতিনিয়ত অশোভন আচরনও করছে যাত্রীদের সাথে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর