,

চুনারুঘাটের ইউপি চেয়ারম্যান সনজু কুমিল্লা থেকে অপহরণ ঢাকা থেকে ৫ লাখ টাকায় মুক্ত

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ ২২ ঘন্টা পর মুক্ত হলেন চুনারুঘাটের আহম্মদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু। শনিবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা বাস ষ্টেশন থেকে তাকে অপহরন করা হয়। অপহরনের ২২ ঘন্টা পর গতকাল বিকেলে ঢাকা থেকে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপন দিয়ে তিনি মুক্ত হন। চেয়ারম্যান সনজু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছেন বলে জানা গেছে। অপহৃত চেয়ারম্যান সনজু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এলাকাবাসিরা  জানান, গত সপ্তাহে চেয়ারম্যান সনজু স্ব-পরিবারে বেড়াতে কক্সবাজার যান। সেখানে ৫ দিন অবস্থান করে স্ত্রী সেমা চৌধুরী ও দু’সন্তানকে বাড়ী পাঠিয়ে দিয়ে তিনি চট্টগ্রাম থেকে যান। শনিবার সন্ধ্যায় তিনি একটি কর্মশালায় অংশ নিতে বাস যোগে কুমিল্লা আসেন। চেয়ারম্যান সনজু জানান, তিনি কুমিল্লা বাস ষ্ট্যান্ডে আসার পর একদল দুর্বৃত্ত তাকে অপহরন করে। অপহরণকারীরা তাকে একটি মাইক্রোতে তোলার পর পরই দুর্বৃত্তরা তাকে কিছু শুকিয়ে দেয়। এর পর তিনি আর কিছু বলতে পারেন নি। জ্ঞান ফেরার পর তিনি নিজেকে একটি ভবনের ভেতর বন্ধি অবস্থায় আবিস্কার করেন। এদিকে অপহরণকারীরা চেয়ারম্যান সনজুর মোবাইল থেকে তার স্ত্রীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে সনজুকে অপহরনের কথা জানায় এবং মুক্তিপন হিসেবে ২০ লাখ টাকা দাবী করে। অন্যথায় তাকে হত্যা করা হবে বলে হুমকী দেয়। পরে অপহরণকারীদের সাথে একাধিকবার ফোনালাপ ও সনজুর সাথে আলোচনা করেন তার পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা সর্বশেষ ৫ লাখ টাকা দাবীতে অনড় থাকে। এ সময় চেয়ারম্যান সনজুকে মারধর করে দুর্বৃত্তরা। পড়ে নিরূপায় হয়ে দুর্বৃত্তদের দেয়া নম্বরে বিকাশে ৫ লাখ টাকা প্রেরণ করা হয়। বিকাশে প্রেরিত টাকা ক্যাশ করার পর অপহরণকারীরা চেয়ারম্যান সনজুকে ঢাকার বিমান বন্দর এলাকায় মুক্ত করে দেয়। উদ্ধারের পর চেয়ারম্যান সনজুকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে চেয়ারম্যান সনজু অপহরনের খবরটি মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষের মাঝে নানা কৌতুহল সৃষ্টি হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর