,

নিবন্ধনবিহীন অনলাইন মিডিয়া বন্ধে হাইকোর্টের রুল

সময় ডেস্ক ॥ জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা-২০১৭ অনুযায়ী দেশে অননুমোদিত ও নিবন্ধনবিহীন অনলাইন মিডিয়াগুলো কেন বন্ধ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুলে গণমাধ্যমের জন্য ইথিক্যাল কন্ডাক (নৈতিক নীতিমালা) প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে আগামী সাতদিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জারিন রহমান ও অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী নীলু। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, অননুমোদিত ও নিবন্ধনবিহীন অনলাইন মিডিয়াগুলো কেন বন্ধ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে রুলে গণমাধ্যমের জন্য ইথিক্যাল কন্ডাক (নৈতিক নীতিমালা) প্রণয়ন করতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে । আগামী সাতদিনের মধ্যে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এর আগে গত ৫ মে যেকোনো সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের জন্য ‘নৈতিক নীতিমালা’ প্রণয়ন করতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের দুই নারী আইনজীবী। তারা হলেন- ব্যারিস্টার জারিন রহমান ও অ্যাডভোকেট রাশিদা চৌধুরী নীলু। নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি রাজধানীতে ২১ বছরের এক নারীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দন্ডবিধি আইনের ৩০৬ ধারায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলোর মধ্যে বিশেষ করে অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলোতে অগ্রহণযোগ্যভাবে নিউজ পরিবেশন করা হয়েছে। অথচ এসব সংবাদ পরিবেশনা বন্ধে বিটিআরসি কিংবা প্রেস কাউন্সিল কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। নোটিশে বলা হয়, এমতাবস্থায় বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল কর্তৃক সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে নৈতিক নীতিমালা প্রণয়ন জরুরি হয়ে উঠেছে। একইসঙ্গে দেশে অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টালগুলো চালু থাকার পরও বিটিআরসি কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। তাই এসব পোর্টালগুলোর রেজিস্ট্রেশনও জরুরি। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় হাইকোর্টে রিট করেন ওই দুই আইনজীবী।


     এই বিভাগের আরো খবর