,

বানিয়াচংয়ে সমবায় সমিতির টাকার হিসাব নিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় এক যুবক নিহত

জুয়েল চৌধুরী ॥ বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া গ্রামে সমবায় সমিতির টাকার হিসাব নিয়ে প্রতিপরে হামলায় ইউনুস মিয়া (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। এ সময় একই পরিবারে মহিলা ও শিশুসহ ৭জন আহত হয়। আহতরা হলেন নিহতের পিতা মাজত আলী (৫৫), মা মিনারা বেগম (৪৫), ছোট ভাই ইমন মিয়া (১৫), ছোটবোন শেলী আক্তার (১৩), মোস্তাফা মিয়া (৩২) ও তোফাজ্জল হোসেন (৩০)। এর মাঝে মিনারা বেগমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। হামলার সময় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় এলাকায় আতংক ছড়িয়ে পড়ে। জানা যায়, সমিতির টাকা নিয়ে একই এলাকার হাবিব, মন্নর আলী এবং মাজত আলীর মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গতকাল শনিবার সকালে মন্নর ও হাবিরের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মাজত আলীর বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় মাজত আলীর পুত্র ইউনুস মিয়া ঘরের বাহিরে এলে তাকে টেটা দিয়ে বুকে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তখন পরিবারের পিতা মাজত আলীসহ পরিবারের লোকজন এগিয়ে এলে তাদের হামলায় তারাও আহত হন। ঘটনার খবর পেয়ে বানিয়াচং থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ এবং আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করেছে। তবে অন্য ঘাতকরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদেরকে ধরা সম্ভব হয়নি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি, আজমিরীগঞ্জ-বানিয়াচংয়ের সার্কেল এসপি পলাশ চন্দ্র দে। গ্রামবাসীর দাবি, ওই গ্রামের অধিকাংশ দাঙ্গাবাজের বাড়িতে টেটা, বল্লম, ফিকলসহ দেশীয় অস্ত্র রয়েছে। পুলিশ এসব অস্ত্র উদ্ধার করলে হয়তো দাঙ্গা কিছুটা কমে যাবে। এ বিষয়ে ওসি এমরান হোসেন জানান, ঘটনার পর পরই তিনি পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এবং একজনকে আটক করে নিয়ে আসেন। অন্য দাঙ্গাবাজকেও ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর