,

নবীগঞ্জ সরকারী কলেজের কোটি টাকা গায়েব’র অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ সরকারী কলেজের কোটি টাকার হিসাব নেই। এ যেন মগের মুল্লুক। শিক্ষার্থীদের টাকা লেনদেনকারী দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের প্রতি যাচ্ছে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। এনিয়ে তদন্তে নেমেছে প্রশাসন। এ ঘটনায় নবীগঞ্জ উপজেলা জুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সুশীল সমাজে দেখা দিয়েছে মিশ্রপ্রতিক্রিয়া। প্রায় ২ বছরের অধিক সময় ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন মোঃ সফর আলী। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আসারপর থেকে নানা অনিয়ম দুর্নীতিতে জর্জরিত হয়েছে কলেজ। শিক্ষার্থীদের পরিক্ষার ফি অতিরিক্ত বেতন আদায়সহ নানা গুরুতর অভিযোগ রয়েছে মোঃ সফর আলীর বিরুদ্ধে। এদিকে সাম্প্রতি এইচএসি পরিক্ষার্থীদের শিওরক্যাশের মাধ্যমে টাকা পরিশোধ করলে টাকার পরিমাণ হিসাব করে অনুসন্ধানের ভিত্তিতে এবং শিক্ষার্থীদের অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে তদন্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাশকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নবীগঞ্জ সরকারি কলেজের প্রবীন এক কর্মচারী বলেন, কলেজ ফান্ডে টাকা না থাকার কারণে বিগত ৮ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। দীর্ঘ ৩০ বছরের চাকুরীর জীবনে এমনটি ঘটেনি। পরিবার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করতে হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে কলেজ এর কম্পিউটার অপারেটার নয়ন মণির মাধ্যমে শিওরক্যাশের নামে শিক্ষার্থীদের পরিক্ষার ফি ও বেতনের টাকা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলীসহ আরো ২/৩ জন শিক্ষকের যোগসাজেশে নিজেরা টাকা বন্টণ করে ভাগভাটোয়ারায় লিপ্ত ছিলেন। প্রভাবশালী এসব শিক্ষকদের ইশারায় চলতো সকল কাজ। অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীরা তাদের কাছে ছিলেন অসহায়। ভয়ে কেউ কোনো কিছু বলার সাহস পেতেন না। এসব কথা বলছিলেন নিজ চোখে দেখা কলেজ এর এক কর্মচারী। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নবীগঞ্জ সরকারী কলেজ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ সফর আলী বলেন, কলেজ এর পক্ষ থেকে আমরা কয়েকজন শিক্ষক দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। তারা বিষয়টি তদন্ত করছে। আড়াই কোটি টাকা গায়েব কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে কথা বলতে নারাজ তিনি। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং তদন্ত কমিটির প্রধান উত্তম কুমার দাশ বলেন, আড়াই কোটি টাকার বিষয়টি আমরা তদন্ত করেছি। তদন্ত প্রতিবেদনের মাধ্যমেই বিস্তারিত জানানো হবে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের বিষয়ে জানতে চাইলে উত্তম কুমার বলেন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর