,

হবিগঞ্জে নববধূকে গণধর্ষণ! স্বীকারোক্তি দিলেন মিঠু গ্রেপ্তার রণি ও শুভ মিয়া

জুয়েল চৌধুরী ॥ লাখাই হাওরে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় মিঠু মিয়া (২১) নামের এক আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। গ্রেপ্তার অপর দুই আসামি ছাত্রলীগ নেতা সোলায়মান রণি ও শুভ মিয়ার পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ। এ ছাড়া নির্যাতিতা নববধূও আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করেন। হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা হকের আদালতে নববধূ ১২২ ধারায় এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধান মিঠুর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। গতকাল শুক্রবার বিকালে গ্রেপ্তার মিঠু ও নির্যাতিতা নববধূর জবানবন্দি নেয়া হয়। গ্রেপ্তার মিঠু উপজেলার মোড়াকড়ি গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে। পরে সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারকৃত লম্পট মোড়াকড়ি গ্রামের ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২১), রাকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯) এবং ছোট্ট মিয়ার ছেলে ছাত্রলীগ নেতা সোলায়মান রনিকে (২২) কারাগারে প্রেরণ করা হয়। উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লাখাই থানার ওসি (তদন্ত) মহিউদ্দিন জানান, ইতোমধ্যে এ মামলার আসামি মিঠু বিজ্ঞ আদালতে নিজের দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অপর দুইজনের বিরুদ্ধে ৫ দিনের রিমা- আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া নির্যাতিতার ডাক্তারী পরীক্ষার পর আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তার জবানবন্দি গ্রহণ করে তার স্বামীর জিম্মায় মুক্তি দেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন-২ আদালতে নববধূর স্বামী ৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন। নববধূ স্বামী জানান, প্রায় মাসখানেক পূর্বে পারিবারিকভাবে তিনি বিয়ে করেন। বিয়ের একদিনের মাথায় তিনি কাজের সুবাদে ঢাকায় চলে যান। কয়েকদিন আগে তিনি ফের বাড়ি ফিরেন। এরপর গত ২৫ আগস্ট দুপুরে তিনি তার স্ত্রী ও বন্ধুকে নিয়ে হাওরে নৌকা ভ্রমণে যান। ভ্রমণের এক পর্যায়ে একই গ্রামের মুছা মিয়া, সুজাত মিয়া, হৃদয় মিয়া, মিঠু মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া ও জুয়েল মিয়াসহ ৫/৬ জন যুবক নৌকাযোগে এসে তাদের গতিরোধ করে। পরে কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই তাকে ও তার বন্ধুকে মারধোর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নববধূকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণকারীরা এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। পরে তারা ঘটনাটি কাউকে না জানাতে হুমকি দিয়ে চলে যায়। এবং বিষয়টি জানাজানি হলে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। তিনি আরও বলেন, বাড়িতে আসার পর বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে ও ধর্ষণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় কাউকে জানাননি। তবুও গত কয়েকদিন থেকে লম্পটরা ওই ভিডিওটি ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছে। এক পর্যায়ে ভিডিওটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তারা মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এরই প্রেেিত বুধবার সে তার স্ত্রীকে নিয়ে তিনি হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর