,

নবীগঞ্জে অযতœ অবহেলায় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এস এম কিবরিয়া চত্বর

সলিল বরণ দাশ ॥ সিলেট সহ সারাদেশেই মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন চত্বর বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে নামকরন করা হয়েছে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নবীগঞ্জ উপজেলা প্রবেশমুখে আউশকান্দি এলাকায় রয়েছে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ্ এস এম কিবরিয়া চত্বর। স্থানীয় এলাকারবাসীর মতে, ২০০৫ সালে গ্রেনেড হামলা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী মৃত্যুর পর পর আউশকান্দির বিক্ষুব্ধ জনতা গোল চত্বরের নামকরণ করে শাহ্ এস এম কিবরিয়া চত্বর।পরে অবশ্যই দেশের তরে প্রান দেওয়া সফল অর্থমন্ত্রী শাহ্ এস এম কিবরিয়ার নামে চত্বরটি নামকরণের সরকারি ঘোষণা আসে। তবে ঘোষনাতেই সীমাবদ্ধ থেকেছে মৃত্যুর ১৫ বৎসরে শাহ্ এস এম কিবরিয়া স্মৃতিকে ধরে রাখতে চত্বরটি উন্নয়নের কোন উদ্দ্যোগ নেওয়া হয়নি। বিগত প্রায় ১৫ বছর আগে নামকরণ করা নবীগঞ্জের প্রবেশপথে শাহ্ এস এম কিবরিয়া চত্বরটি দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। কিন্তু এতদিন পেরিয়ে গেলেও স্বাধীনতা সংগ্রামের অন্যতম সংগঠক সাবেক অর্থমন্ত্রীর স্মৃতি স্বরূপ চত্বরটি শুধু নাম ফলকেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। ফলে অযতœ আর অবহেলায় পড়ে থাকা শাহ্ এস এম কিবরিয়া চত্বরটি এখন বাস-ট্রাক-লেগুনা পাকিং স্পট ও ময়লার ভাগাড়ে পরিনিত হচ্ছে। যা নিয়ে অন্তহীন ক্ষোভ নবীগঞ্জবাসীর। গত সোমবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চত্বরে ১০ ইঞ্চি উচ্চতার যে ইটের বেষ্টনী দেওয়া রয়েছে, সেখানকার বেশ কিছু স্থানের ইট খসে পড়েছে। চত্বরের মধ্যে জমে থাকা পানি ও ময়লা আর্বজনা থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। সেখানে ডাব ব্যবসায়ী ডাব কেটে কেটে বিক্রি করছেন। আর সব ডাবের সব খোসা চত্বরের ভিতরে ফেলছে। শাহ্ এস এম কিবরিয়া স্মৃতি বিজড়িত ও মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক ও সাবেক অর্থমন্ত্রীর সম্মানার্থে তৈরি এই চত্বরটির প্রতি কর্তৃপক্ষের এই অবহেলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয় জনসাধারণ। তারা বলেন, সাবেক বিশিষ্টজনের নাম নিয়ে এমন কাজ অপমানের শামিল। চত্বরটি সংস্কার বা উন্নয়নে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। এব্যপারে শাহ্ এস এম কিবরিয়ার চাচাতো ভাই ও নবীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক শাহ্ মুস্তাকিম আলী প্রিন্স বলেন, সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী স্মৃতিকে অম্লান রাখতে চত্বরটি নামকরন ছাড়া ১৫ বৎসরে দৃশ্যমান কোন উন্নয়ন হয়নি। আমদের পরিবারের পক্ষ থেকে চত্বরের চারদিকে চারটি বোর্ড বসিয়ে চত্বরের নামটি ধরে রাখার চেষ্টা করা হলে সেটিও এখন বিভিন্ন নেতার পোস্টার ব্যানারের নীচে চাপা পড়েছে। দেখে বুঝার উপায় নেই যে এটা কিবরিয়া চত্বর। দ্রুত চত্বরটি দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় করার জন্য তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানান। এ ব্যাপারে আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন বলেন, এব্যপারে আগের ইউএনও মহোদয় থাকা আবস্থায় মাসিক সমন্বয় সভায় একটি প্রস্তবনা তোলা হলেও এব্যাপারে অদ্যবধি কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মোহাম্মদ ফয়সল জানান, সড়কটি তাঁদের আওতাধীন।এই সড়কে ফোর লেনের কাজ হবে। ফোর লেনের কাজ হওয়ার পর তারা এই ব্যপারে পরিকল্পনা করে চত্বর উন্নয়নের ব্যবস্থা নিবেন। এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন বলেন, চত্বরটি যেহেতু আউশকান্দি পড়েছে এব্যাপারে লোকাল প্রশাসন হিসাবে আউশকান্দি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান উপজেলায় আসার পর এখন পর্যন্ত কোন প্রস্তাবনা পাঠায়নি। প্রস্তাবনা পাঠালে এব্যপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর