,

নবীগঞ্জে তহশীলদার কর্তৃক প্রতারনা ইউএনও বরাবর অভিযোগ দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে ইউনিয়ন উপ-সহকারী তহশীলদার কর্ুৃক প্রতারনা এবং ঘুষ দাবি করে জমির দলিল তৈরি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩নং পানিউমদা ইউনিয়নের মৃতঃ দেওয়ান আহমদ চৌধুরী এর পুত্র জাহিদ আহমদ চৌধুরী অভিযোগ করেন, পানিউমদা ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপ-সহকারী (তহশীলদার) জুনায়েদ খাঁন প্রায় ৫/৬ বছর যাবৎ অত্র ভুমি অফিসে ভুয়া দলিল লিখক পরিচয়ধারী জয় মিয়া ও তার পুত্র মামুন মিয়াকে নিয়ে এলাকায় একটি দালালদের চক্র গড়ে তুলেছে এবং জুনাইদ খাঁনের নেতৃত্বে ভুমি অফিসে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে গতকাল রবিবার জাহিদ আহমদ চৌধুরী নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট একটি অভিযোগ দায়ের করা করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অত্র এলাকার লোকজন ভুমি অফিসে জায়গার নামজারীর রিপোর্ট ও খাজনা দিতে গেলে তারা অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে সাধারণ মানুষদের হয়রানী করে আসছে। জাহিদ আহমদ চৌধুরী বলেন, কিছু দিন পুর্বে আমি অফিসে খাজনা দিতে গেলে প্রতারক উপ-সহকারী তহশীলদার জুনেদ খাঁন আমার নিকট থেকে জয় মিয়া ও মামুন মিয়ার সহযোগিতায় নগদ ৫ হাজার টাকা নেন। পরে জুনাইদ খাঁন তাকে খাজনা রশিদ নং ৩৫০৫১১ এর মাধ্যমে ১ হাজার টাকার একটি রশিদ দেন। তিনি বাকী ৪ হাজার টাকার বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলে জুনেদ খাঁন সঠিক জবাব না দিয়ে তাকে চলে যেতে বলেন। তখন তিনি অতিরিক্ত ৪ হাজার টাকা ফেরৎ চাইলে সে তার প্রতারনা চক্রের সদস্য জয় মিয়া ও মামুন মিয়াকে দিয়ে ভয়ভীতি এবং অক্যু ভাষায় গাল মন্দ করেন। এছাড়া গত প্রায় মাস দেরেক পূর্বে আমার জায়গার নামজারির একটি রিপোর্ট দিতে গিয়ে জুনেদ খাঁন জাহিদ আহমদ চৌধুরীর নিকট দুই লক্ষ টাকা ঘোষ দাবী করেন। এছাড়াও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপ-সহকারী জুনাইদ খাঁন অত্র ভুমি অফিসে একটি প্রতারক চক্রের মাধ্যমে এলাকার কুকু সাধারণ মানুষদের সাথে প্রতারনা করে নামজারি রিপোর্ট ও খাজনা এবং জাল দলিল তৈরি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এ বিষয়ে তিনি উদ্ধতন কর্ুৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর