,

হবিগঞ্জ শহরে ঘন ঘন বিদ্যুত বিভ্রাটের প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মানববন্ধন

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহরে ঘন ঘন বিদ্যুত বিভ্রাট ও ভূয়া মামলা দিয়ে হয়রানিসহ বিভিন্ন ভোগান্তির প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে সম্মিলিত নাগরিক সমাজ। গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে শহরের ডিসি অফিসের সামনে হবিগঞ্জের সম্মিলিত নাগরিক সমাজের সভাপতি পিযুষ চক্রবর্তী এতে সভাপতিত্ব করেন। বক্তব্য রাখেন এড. জুনায়েদ আহমেদ. বৃন্দবন সরকারী কলেজের সাবেক ভিপি আবু হেনা মোস্তাফা কামাল, এড. জিলু মিয়া প্রমুখ। বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ৪শ মেগাওয়াট বিদ্যুত উদ্বোধন করেছেন। এখন কেন ঘন ঘন লোড শেডিং। বিদ্যুত অফিসে সেবা নিতে গিয়ে গ্রাহককে মার খেতে হয়। এমনকি গ্রাহকদের দালালদের মাধ্যমে ভূয়া মামলা দিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি করে বিদ্যুত অফিসের কর্মচারীরা। এসব সমস্যার সমাধান করতে হবে। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে হবিগঞ্জের উপর দিয়ে তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচন্ড গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। বাহিরে কাজ করাতো দূরের কথা, ঘরে থেকেও প্রাণ যায় যায় অবস্থা। এ দুর্বিষহ অবস্থায় ‘মরার উপর খাড়ার ঘা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে নাজেহাল অবস্থায় স্বাভাবিক জীবন-যাত্রা। শহরবাসীর অভিযোগ-প্রচন্ড গরমের মধ্যে বৈদ্যুতিক পাকা মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিয়ে থাকে। কিš’ লোডশেডিংয়ের মাত্রা অতিরিক্ত হওয়ায় সেই স্বস্তিও মিলছে না ত”ষ্ণার্থ প্রাণে। এমনকি রাতের বেলায়ও একাধিকবার বিদ্যুতের আসা-যাওয়ার কারণে চরম আকার ধারণ করেছে ভোগান্তি। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের এমন কর্মকা-ে জনসাধারণের মনে ােভের সঞ্চার হচ্ছে। জানা যায়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে হবিগঞ্জে প্রচন্ড গরম পড়েছে। এতে দুর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। প্রচ- তাপদাহের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে মাঠে-ঘাটে। শুধু দিনের বেলায় নয়, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায় শহরবাসীর। দিনের সাথে পাল্লা দিয়ে রাতেও একটু পরপরই লোডশেডিংয়ের অভিযোগ বিস্তর। শহরের প্রতিটি এলাকাতেই এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ােভের সঞ্চার হচ্ছে সাধারণ মানুষের মনে। অভিযোগ রয়েছে, বারবার বিদ্যুৎ অফিসে কল দিলেও কোন সাড়া পাওয়া যায় না। আবার কোনো কোনো সময় ফোন রিসিভ না করে ব্যস্ত রেখে দেয়া হয়। গ্রাহকদের সমস্যা যেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোন বিষয়ই না। নিজের মতো করে বিদ্যুৎ দেয়া-নেয়া করাই তাদের কাজ। এতে ঘরের টিভি, ফ্রিজ, কম্পিউটারের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স জিনিস অকেজো হয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে যদি এসব সমস্যা সমাধান না করা হয় তাহলে কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে বলে হুশিয়ারী দেন তারা।


     এই বিভাগের আরো খবর