,

আরও ৬ মাস বাড়লো খালেদা জিয়ার মুক্তির

সময় ডেস্ক ॥ ফাইল ফটোবিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিতের মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া শর্ত সাপেক্ষে যে জামিন পেয়েছেন এবং চিকিৎসা করাচ্ছেন, সে সময়টা বৃদ্ধির জন্য তার পরিবার থেকে আবেদন করা হয়েছিল। সে আবেদন যথাযথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অনুমোদন দেয়া হয়েছে। চর্তুথবারের মতো সাজা স্থগিতের মেয়াদ আগের সব শর্ত বহাল রেখে ৬ মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ মাস গণনা শুরু করা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে তার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়ার জন্য প্রথমে ৬ মাস সুবিধা দেয়া হয়েছিল। সে সুবিধা আবারও চতুর্থবারের মতো দেয়া হলো। তিনি নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসাসেবা যেভাবে নিতে চান, সেভাবে নেবেন। তবে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না। পাশাপাশি অন্যান্য শর্ত বহাল থাকবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এর আগে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তার পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাঠানো হয়েছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিশেষ আদালতের রায়ে পাঁচ বছরের কারাদন্ড নিয়ে কারাবন্দি হন খালেদা জিয়া। তারপর নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগারে শুরু হয় তাঁর কারাজীবন। একই বছরের ৩০ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর বাড়িয়ে ১০ বছরের আদেশ দেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বেঞ্চ। অন্যদিকে, ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন আদালত। রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৫ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাত বছরের কারাদন্ড ছাড়াও খালেদা জিয়াকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদন্ডাদেশ দেন আদালত। নাজিমউদ্দিন রোডের পুরানো কেন্দ্রীয় কারাগারে এক বছরের বেশি সময় বন্দিজীবন কাটানোর পর চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে আসা হয় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) কেবিন ব্লকের প্রিজন সেলে। গত বছর সারা বিশ্বে মহামারি করোনা ছড়িয়ে পড়লে শর্তসাপেক্ষে সরকার প্রধানের নির্বাহী আদেশে জামিন পান খালেদা জিয়া। প্রায় ২৫ মাস (কারাগার ও বিএসএমএমইউ’র প্রিজন সেল) কারাভোগের পর তিনি ২০২০ সালের ২৫ মার্চ মুক্ত হন। বিএসএমএমইউ প্রিজন সেল থেকে মুক্তির পর গুলশানে নিজের ভাড়া বাসায় অবস্থান করছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। এরপর কয়েক দফায় বাড়ানোর হয় তার সাজা স্থগিতের মেয়াদ।


     এই বিভাগের আরো খবর