,

হবিগঞ্জে আলোচিত পুতুল ও তার দুই সহযোগীকে কারাগারে প্রেরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের বিলাস বহুল এক বাসা থেকে অপরাধ জগতের আলোচিত নারী পারভিন আক্তার পুতুল ও তার দুই সহযোগীকে আটকের পর কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মহিলা পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় সদর মডেল থানার এসআই মুজিবুর রহমান বাদি হয়ে মামলা করেছেন। এ ছাড়াও পুতুলের বিরুদ্ধে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, মারামারিসহ আরও কয়েকটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গত সোমবার রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ডিবি ও সদর থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যৌথ অভিযান চালিয়ে টাউন হল এলাকার রূপালী ম্যানসনের পেছনের একটি বিলাস বহুল বাসা থেকে পুতুল ও তার সহযোগীদের আটক করা হয়। পরে তাদেরকে ডিবি অফিসে নিয়ে উর্ধ্বতন অফিসারদের উপস্থিতিতে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করে সকাল ১০টার দিকে সদর থানায় সোপর্দ করা হয়। আটকরা হল, শহরতলীর আলমপুর গ্রামের রাজমিস্ত্রি শওকত আলীর স্ত্রী ও বানিয়াচং উপজেলা সদরের যাত্রাপাশা গ্রামের বাসিন্দা মৃত আজমান মিয়ার কন্যা পারভিন আক্তার পুতুল (৪০), একই উপজেলার এড়ালিয়া গ্রামের মাখন মিয়ার কন্যা পারভিন আক্তার সুইটি (২৫) ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বাগুনিপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের কন্যা ঢাকা ইডেন কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী রুবি আক্তার (২০)। সদর মডেল থানার এসআই অভিজিৎ ভৌমিক জানান, গত ৩ সেপ্টেম্বর বৃন্দাবন কলেজ এলাকা থেকে পুতুলের নির্দেশে তার ছোটবোন আসমা আক্তার ও জালালাবাদ গ্রামের সুন্দর আলীর পুত্র তার স্বামী মোশাহিদসহ বেশ কয়েকজন দুর্বৃত্ত ভাদৈ গ্রামের হিরণ মিয়ার স্ত্রী আলিমুন্নেসাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে দুইদিন আটকে রেখে কয়েক লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে এবং সেই সাথে কাউকে বিষয়টি না বলার জন্য আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে রাখে। এরপর থেকে ওই চক্রটি আলিমুন্নেসার কাছ থেকে স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোনসহ টাকা হাতিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে আলিমুন্নেসা সদর থানায় মামলা করলে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয় পুতুল ও তার বাহিনী এ কাজটি করেছে। গত শনিবার রাতে আসমাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের অপরাধ জগতের তথ্য বেরিয়ে আসে। এরপর থেকে একের পর এক তথ্য বেরিয়ে আসতে থাকে। ওসি মাসুক আলী জানান, আপাতত দুইটি মামলায় পুতুলকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রয়োজনে তার কাছ থেকে আরও রহস্য উদঘাটনের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হতে পারে। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১০/১২টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া এ চক্রের অন্য সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে।


     এই বিভাগের আরো খবর