,

হবিগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবকলীগের পদ প্রত্যাশীদের দিতে হচ্ছে ডোপ টেস্ট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দরজায় কড়া নাড়ছে সম্মেলন, সাজ সাজ রবে ব্যানার, ফেস্টুন আর গেইটে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। দীর্ঘ করোনার পর রাজনীতিতে যেন প্রাণ ফিরে এসেছে। আসছে ২৫ই সেপ্টেম্বর শনিবার হবিগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর এ সম্মেলনকে ঘিরে হবিগঞ্জ শহরে আওয়ামী পরিবারের নেতাকর্মীদের মধ্যে ফিরে এসেছে প্রাণচাঞ্চল্য। ইতোমধ্যে পদ পেতে আগ্রহী নেতারা জমা দিয়েছেন তাদের প্রার্থিতা (মনোনয়ন) ফরম। তবে এবার সব ছাপিয়ে আলোচনার মূল কেন্দ্র বিন্দুতে রয়েছে ডোপ টেস্ট নামক শব্দটি। কারণ এবারই দেশে প্রথম শুরু হতে যাচ্ছে পদ প্রত্যাশীদের নেতাদের ডোপ টেস্ট। হবিগঞ্জ থেকে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে এটি শুরু হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইতোমধ্যে ডোপ টেস্ট দিতে পদ প্রত্যাশীরা ঢাকায় অবস্থান করছেন। বৃহস্পতিবার ঢাকা পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পদ প্রত্যাশী নেতারা তাদের স্ব-স্ব ডোপ টেস্ট দেয়ার কথা রয়েছে। যারা বিভিন্ন পদে প্রার্থী তারাই কেবল এ টেস্টের আওতাধীন রয়েছেন, টেস্টের ফলাফল থাকবে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে, প্রার্থীরা রশিদ নিয়ে চলে আসবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জানান, প্রথমে ডোপ টেস্টের জন্য তারা সিলেটের একটি হাসপাতালে গিয়ে সেখানে নমুনা ও জমা দিয়েছিলেন। পরে কেন্দ্র থেকে তাদেরকে জানানো হয়েছে ঢাকায় গিয়ে ডোপ টেস্ট করাতে হবে। পরে নেতারা সিলেটে পরীক্ষা না করেই ফিরে আসেন। কোন কোন প্রার্থী অর্ধেক রাস্তা থেকে ও টেস্ট না করে ফোন পেয়ে ফিরে আসেন। এর আগে দুই দিন বিক্রি করা হয়েছে মনোনয়ন ফরম। এসময় পদ পেতে আগ্রহী নেতারা ফরম সংগ্রহ করে জমা দেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃবৃন্দের কাছে। এছাড়াও পদ প্রত্যাশীরা কেন্দ্রে চালিয়ে যাচ্ছেন জোর তদবির। এ পর্যন্ত পদ প্রত্যাশী ২৩ জন নেতা ডোপ টেস্ট দিতে ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে একটি সূত্রে খবর পাওয়া গেছে । তন্মধ্যে সভাপতি পদে মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন ৬ জন, সাধারণ সম্পাদক পদে ১১ জন ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৬ জন। এছাড়াও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদেও প্রার্থীরা মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন। এবারের সম্মেলনে সভাপতি পদে ৩০ হাজার, সাধারণ সম্পাদক পদে ২৫ হাজার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ২০ হাজার ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ১৫ হাজার টাকা মনোনয়ন ফি বাবত জমা নেওয়া হয়েছে। যা অফেরত যোগ্য। সম্মেলনের খরচ হিসেবে ওই টাকা ব্যয় করা হবে। এই বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ কামরুল হাসান জানান, বিষয়টা দলের জন্য দারুণ একটি সিদ্ধান্ত। যা দেশের মধ্যে হবিগঞ্জ থেকেই শুরু হয়েছে। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে রাজনীতিতে ক্লিন ইমেজের মানুষগুলোই আসবে। যাদের ডোপ টেস্টে পজিটিভ, তারা নেতৃত্বে আসতে পারবেন না।


     এই বিভাগের আরো খবর