,

বাহুবলে ধর্ষণের অভিযোগে প্রেমিকসহ তার বন্ধু গ্রেফতার, ধর্ষণের দায় শিকার বন্ধুসহ প্রেমিকের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রেমিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে বন্ধুসহ প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ। গ্রেপ্তরকৃতরা হলেন, প্রেমিক নবীগঞ্জ উপজেলার বড়কান্দি গ্রামের মৃত হুদ খাঁর ছেলে জুয়েল খাঁ (২২) ও তার বন্ধু ভরগাঁও গাজী মোকামের মৃত আহম্মদ মিয়ার ছেলে জুনেদ মিয়া (২৬)। জানা যায়, গত শুক্রবার গভীর রাতে বাহুবল থানার ওসি (তদন্ত) আলমগীর কবিরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে। পুলিশ দিনভর জিজ্ঞাসাবাদে দুই আসামীর কাছ থেকে ঘটনার সত্যতা পায়। পুলিশের কাছে প্রেমিক জুয়েল খাঁ জানায়- মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ওই যুবতীর সাথে তার পরিচয় হয়। কয়েক দিন যেতেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। একজন আরেকজনকে কাছে পেতে ব্যাকুল হয়ে উঠে। জুয়েল প্রেমিকাকে তার সাথে দেখা করতে সিলেট শহরে আসতে বলে। এতে রাজি হয় প্রেমিকা। গত ৬ অক্টোবর বিকেল প্রায় ৪টায় জুয়েল পানিউমদা থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা পাঠায় প্রেমিকার বাড়ির পাশে। এই সিএনজি করে সে পানিউমদা যায়। সেখান থেকে বাসে করে সিলেট পৌঁছায়। সিলেট কদমতলী থেকে জুয়েল ও তার বন্ধু জুনেদ মিলে সিলেট শহরের তালতলা আবাসিক হোটেল সুফিয়ার দ্বিতীয় তলার একটি রুমে নিয়ে ওই যুবতীকে রাতভর পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরদিন ৭ অক্টোবর সকালে তাকে যুবতীকে বাসে উঠিয়ে নবীগঞ্জের পানিউমদায় নামিয়ে দিয়ে জুনেদ মিয়া সটকে পড়ে। পরে প্রেমিকের প্রতারণা বুঝতে পেরে বিষয়টি স্বজনকে জানায় ওই যুবতী। তার স্বজনরা বিষয়টি বাহুবল মডেল থানা পুলিশকে জানান। পুলিশ মামলা নিয়ে আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) আলমগীর কবির দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেন। ধর্ষণের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া যুবতীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওসি (তদন্ত) আলমগীর কবির জানান, আসামি গ্রেপ্তারে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। সিএনজি চালককে গ্রেপ্তার করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। এ ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।


     এই বিভাগের আরো খবর