,

হবিগঞ্জে বাড়িতে বসে সাজা ভোগ করবে ৪ আসামি

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ একটি মারামারি মামলায় আসামি ছিলেন চার ব্যক্তি। মামলার রায়ে তাদের প্রত্যেকের ছয় মাসের সাজা ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। কিন্তু তাদেরকে এই সাজার জন্য কারাগারে যেতে হচ্ছে না। তারা নিজ বাড়িতে পরিবারের সাথে থেকেই এ সাজা ভোগ করেন। সাজা ভোগের বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবেন একজন প্রবেশন কর্মকর্তা। গতকাল সোমবার ব্যতিক্রমী এই রায় ঘোষণা করেছেন হবিগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন- বানিয়াচঙ্গ ত্রিকর মহল্লার সেলিম, আজাদ মিয়া, লেদু মিয়া ও জাকির মিয়া। আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৯ অক্টোবর সকালে ভূমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বানিয়াচং উপজেলার ত্রিকর মহল্লার আলাউদ্দিন সর্দারের সাথে প্রতিবেশী মল্লিক জোয়ার্দারের পরিবারের মধ্যে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মল্লিক জোয়ার্দার প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় মল্লিকের স্ত্রী জোস্না বেগম ৭ জনের নাম উল্লেখ করে বানিয়াচং থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্তের পর পুলিশ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। এরপর দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে সোমবার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হারুন অর রশীদ এই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাত আসামির মধ্যে চার আসামিকে ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং জরিমনা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন আদালত। অন্য তিনি আসামির মধ্যে শাহীন মিয়াকে ৫ বছর ও আজিজুুর রহমানকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের রায় দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণাকালে আসামি শাহীন পলাতক ছিল। অপর আসামি আলাউদ্দিন সরদার বিচারাধীন অবস্থায় মারা যান। এদিকে রায় ঘোষণার পর আসামি পক্ষের আইনজীবী মনজুর উদ্দিন আহমেদ আপীলের শর্তে আসামিদের জমিনের আবেদন করেন। এরপর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অরডিন্যান্স আইনের বিধান অনুযায়ী তাদের প্রবেশনের আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী মনজুর উদ্দিন আহমেদ।


     এই বিভাগের আরো খবর