,

ঝুঁকিতে আজমিরীগঞ্জের সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন

জুয়েল চৌধুরী ॥ আজমিরীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবনটি দীর্ঘদিনের পুরনো হওয়ায় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও দলিল লেখকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। ভবনটির বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। এ ছাড়া ছাদে ও কার্ণিশে গাছ ও শেওলা উঠেছে। যে কোনো সময় ভবনটি ধসে পড়ে প্রাণহানিসহ হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন কর্মচারী ও দলিল লিখকরা। তাছাড়া পাশেই রয়েছে চৌকি আদালত ভবণ। সেটারও একই অবস্থা। জানা যায়, ১৯৮৭ সালের ২৯ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগের তৎকালীন বিভাগীয় কমিশনার আলী হায়দার খান ভবনটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিস হিসেবে উদ্বোধন করেন। এরপর থেকে দীর্ঘ ৩২ বছরেও ভবনটিতে কোনো সংস্কার করা হয়নি। বিভিন্ন সরকারের সময় জনপ্রতিনিধিরা সংস্কারের আশ্বাস দিলেও কোনো উন্নয়ন হয়নি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ভবনটির পাশেই সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। দলিল লেখক ও আইনজীবীর সহকারীরা ভবনটির বারান্দায় বসে কাজ করছেন। তাদের বসার কোনো জায়গা নেই। দলিল লেখক ও আইনজীবীর সহকারীরা জানান, তারা তিন দশক ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বারান্দায় বসে প্রতিদিনের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসা দলিল সম্পাদনকারী লোকজনেরও বসার স্থান না থাকায় তারা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। ঝড়বৃষ্টির দিনে দলিল লেখক ও গ্রহীতাদের এ দুর্ভোগ বাড়ে আরও কয়েকগুণ। সাবরেজিস্ট্রি অফিসের কাগজপত্র বৃষ্টি হলে পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। তারা আরও জানান, বিভিন্ন সরকার পরিবর্তন হলেও গুরুত্বপূর্ণ ভবনটি কোনো জনপ্রতিনিধি কিংবা সরকারি কোনো কর্মকর্তা এর সংস্কার করেননি। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শত শত নারী পুরুষ প্রতিদিন আদালত ও সাবরেজিস্ট্রি অফিসে আসেন। তাদের বসার জায়গা নেই। অবিলম্বে তারা সংস্কারের দাবি জানান।


     এই বিভাগের আরো খবর