,

চুনারুঘাটে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টাঃ আটক ৩ সোস্যাল ডেভলাপমেন্ট সংস্থার নামে

চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটে সোস্যাল ডেভলাপমেন্ট সংস্থার (এসডিএস) মা ও শিশু স্বাস্থ্য প্রকল্পে বেকার যুবক যুবতীদেরকে মোটা অংকের বেতনে স্ব স্ব উপজেলা ও ইউনিয়নে চাকুরী দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফাঁদ ব্যর্থ করে দিয়েছে চুনারুঘাট থানা ও হবিগঞ্জ ডিবি পুলিশ। শুক্রবার কথিত সংস্থাটির পীরের বাজারস্থ একটি অস্থায়ী কার্যালয়ে চাকুরি দেওয়ার নাম করে পরীক্ষা নেওয়ার সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সংস্থার কথিত চেয়ারম্যানসহ ৩ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো- ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার কলিম উদ্দিন ফকির ও তার তিন সহযোগী একই এলাকার নুরুজ্জামান, কামাল মিয়া। পুলিশ জানায়, কলিম উদ্দিন ফকির সম্প্রতি স্থানীয় একটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে হবিগঞ্জ জেলার ৮টি উপজেলায় মা ও শিশু স্বাস্থ্য প্রকল্পে কাজ করার জন্য ৯টি পদে ৭’শ ৯০ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী নিয়োগ করা হবে বলে প্রচার চালায়। পরে বিজ্ঞাপনটি গ্রামে গ্রামে ব্যাপক প্রচার করে আবেদন সংগ্রহ করে। বিজ্ঞাপনে নির্বাচিতদের প্রত্যেকের কাছ থেকে জামানত হিসেবে ১০ হাজার টাকা করে নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। নিজের এলাকায় মোটা বেতনে চাকুরির আশায় জেলার ৮টি উপজেলা থেকে শত শত বেকার যুবক যুবতী আবেদন করেন। সংস্থার পীরের বাজারস্থ অস্থায়ী কার্যালয়ে স্থানীয় ৩ যুবতীকে নিয়োগ দিয়ে শুক্রবার সকালে প্রার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার তারিখ ঘোষণা করা হয়। এ হিসেবে সকাল সাড়ে ১০টায় হাতে লেখা প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা শুরু হলে স্থানীয় যুবক ফয়সল আহমেদ তারেক বিষয়টি হবিগঞ্জের ডিবি পুলিশকে জানান। পরে ডিবির দারোগা করিম উদ্দিন ও সুদীপ রায় চুনারুঘাট থানা পুলিশের সহযোগিতায় উপস্থিত হয় তাদের কার্যালয়ে। পুলিশ দেখেই পালানোর চেষ্ঠা করে সংস্থার চেয়ারম্যান পরিচয় দেওয়া কলিম উদ্দিন ফকির ও তার সহযোগিরা। পরে তাদেরকে আটক করে নিয়োগ এবং এনজিওর কাজ সম্পর্কে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে চাইলে তারা কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। এমনকি কিসের ভিত্তিতে তারা বিজ্ঞাপন দিয়ে লোক নিয়োগের পরীক্ষা নিচ্ছে তাও জানাতে পারেনি। এ বিষয়ে তাদের কোন কাগজপত্র নেই বলেও তারা স্বীকার করে। পুলিশ ও স্থানীয়রা ধারনা করছেন পরীক্ষার নামে তাদেরকে নির্বাচিত করে তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা করে জামানত নিয়ে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা নিয়ে ঐ সংস্থার কর্মকর্তারা গা ঢাকা দিতেন। পরে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঐ কার্যালয়ে তল্লাশী করে তাদের পরীক্ষার খাতাপত্র ও অফিসিয়াল যাবতীয় কাগজ জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন। এ ব্যাপারে প্রতারনার শিকার সালমা আক্তার বাদী হয়ে ৪ জনের বিরোদ্ধে চুনারুঘাট থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর