,

দেশের একটি মন্দিরও ধ্বংস হয়নি ॥ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সময় ডেস্ক ॥ বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বিবৃতিতে তিনি দাবি করেছেন, দেশে সাম্প্রতিক সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সময় কেউ ধর্ষিত হননি এবং একটি মন্দিরেও অগ্নিসংযোগ কিংবা ধ্বংস করা হয়নি। গতকাল শুক্রবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের এই বিবৃতিটি ফলাও করে প্রকাশ করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া, টাইমস নাও ও হিন্দুস্তান টাইমসসহ ভারতের প্রথম সারির কয়েকটি সংবাদমাধ্যম। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, যেসব প্রচারণা চলছে সেগুলো চলমান গুজবের অংশ এবং সাম্প্রতিক ধর্মীয় সহিংসতায় এখন পর্যন্ত মাত্র ৬ জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ৪ জন মুসলমান, আর তারা হিন্দুদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টার সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন। ২ জন হিন্দু মারা যান, এদের ১ জনের সাধারণ মৃত্যু হয়েছে। অন্যজন ডুবে মারা গেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে আরও বলা হয়, ‘কেউ ধর্ষিত হননি ও একটি মন্দিরেও অগ্নিসংযোগ বা ধ্বংস করা হয়নি। তবে সম্পদ বা প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়েছে। এসব ঘটনায় যারা জড়িত তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা এখন পুলিশ হেফাজতে আছেন।’ সহিংসতায় ‘মাত্র ২০টি ঘর পুড়ে গেছে’ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বিবৃতিতে বলেন, ‘পুড়িয়ে দেওয়া ঘর পুনর্নিরমাণ করা হয়েছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্ত সবাই ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, কিছু উৎসাহী মিডিয়া ও ব্যক্তি ধর্মীয় সম্প্রীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সরকারকে বিব্রত করতে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের হত্যা ও ধর্ষণের গল্প ছড়াচ্ছে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের সব জায়গায় পূজামন্ডপের সংখ্যা প্রশংসনীয়ভাবে বেড়েছে। কারণ এর জন্য সরকার অর্থ দেয়।’ মন্ডপে দেবতার পায়ের কাছে পবিত্র কোরআনের কপি রাখা ইকবাল হোসেনকে মাদকাসক্ত উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার প্রত্যেক অন্যায়কারীর বিচার করতে এবং সব ধর্মের সব নাগরিককে বাঁচাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি। ‘এসব ঘটনা পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কিত, ১৯৭১ সালে যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল তারা দেশে সাম্প্রদায়িক বিভেদ সৃষ্টি করতে চায়’ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদের এমন মন্তব্যের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বিবৃতি এসেছে বলে উল্লেখ করা হয় টাইমস নাও’র প্রতিবেদনে। এ ছাড়া, বিবৃতিতে বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র ছিল উল্লেখ করে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম নিয়ে আসার জন্য সাবেক রাষ্ট্রপতি জেনারেল হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদকে দায়ী করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


     এই বিভাগের আরো খবর