,

নবীগঞ্জের ১৩ ইউপির মাঝে ৯ ইউপিতে নৌকার ভরাডুবি ॥ জামানত হারালো ২

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন নির্বাচনে নৌকার বিশাল পরাজয় বরণ করায় আলোচনার ঝড় উঠেছে। গত ২৮ নভেম্বর নির্বাচনে ১৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টিতে নৌকা, ৪টিতে বিদ্রোহী, ৩টিতে বিএনপি সমর্থিত ও ২টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে ইনাতগঞ্জ ও করগাঁও ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী জামানত হারিয়ে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছেন। আওয়ামীলীগের বিশাল ভরাডুবির কারণ হিসেবে অনেকেই মনোনয়নের ক্ষেত্রে হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত যথার্থ হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন। বেশীর ভাগ ইউনিয়নেই প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়েছে নতুন মুখ। কেউ কেউ এলাকার রাজনীতি ও সাধারণ মানুষের সাথে সম্পৃক্ত নয়। এমন লোককেও দেয়া হয়েছে দলীয় মনোনয়ন। এছাড়া বড় বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল বিদ্রোহী প্রার্থীরা। ফলে দলীয় নেতাকর্মী নির্বাচনীয় মাঠে সরব কম ছিল। যে সব ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী ভরাডুবি হয়েছে তা হলো ১নং বড় ভাকৈর (পশ্চিম) ইউনিয়নে সমর চন্দ্র দাশ (নৌকা), ৪নং দীঘলবাক ইউনিয়নে আবু সাঈদ (নৌকা), ৬নং কুর্শি ইউনিয়নে আলী আহমদ (নৌকা), ৯নং বাউসা ইউনিয়নে মোঃ আবু সিদ্দিক (নৌকা), ১০নং দেবপাড়া ইউনিয়ন যেখানে নৌকার ঘাটি হিসেবে খ্যাত রয়েছে। ওই ইউপিতে নৌকার প্রার্থী আব্দুল মুহিত, ১১নং গজনাইপুর ইউনিয়নে সাবের হোসেন চৌধুরী (নৌকা), ১২নং কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নে ফরহাদ আহমদ (নৌকা) বিপুল ভোটের ব্যবধানে ভরাডুবি হয়। জামানত হারিয়েছেন করগাওঁ ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী বজলুর রহমান। তিনি দীর্ঘকাল ধরে ইউপি আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করলেও এলাকার উন্নয়ন, বা সুখ দুঃখের সাথে জড়িত নাই বললেই চলে এবং ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী আছাবুর রহমান। প্রায় ১০/১২ বছর যাবৎ তিনি লন্ডনে অবস্থান করছেন। এর আগে দেশে থাকতে ছাত্রলীগ ও পরে যুবলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। দীর্ঘ সময় এলাকার কোন কর্মকান্ডে তিনি জড়িত ছিলেন না। স্থানীয় এই নির্বাচন থেকে ভবিষ্যতে মনোনয়নের ক্ষেত্রে আওয়ামীলীগের শিক্ষা গ্রহন করা উচিৎ বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মন্তব্য করেছেন।


     এই বিভাগের আরো খবর