,

শরীর সুস্থ আছে কি না জেনে নিন ৩০ সেকেন্ডেই

সময় ডেস্ক: সুস্থ থাকতে সবাই চান। এজন্য সঠিক নিয়মে জীবনযাপন করা জরুরী। তবে করোনাকালে সুস্থ থাকাটা চ্যালেঞ্জের বিষয়। সামান্য ক্লান্ত লাগলেও সবার মনে আতঙ্ক জাগে, এই বুঝি কোনো রোগে শরীর আক্রান্ত হলো। তবে আপনি চাইলে ঘরে বসেই ছোট্ট পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারবেন সুস্থ আছেন কি না। এই পরীক্ষা ঘরেই খুব সহজে করা যাবে। এজন্য দরকার মাত্র ৩০ সেকেন্ড। আসলে সবারই নিজ স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন হওয়া জরুরী। কারণ এমন অনেক কঠিন রোগ আছে, যেগুলো ধরা পড়ে না সহজে। তারপর যখন ধরা পড়ে, ততক্ষণে দেরি হয়ে যায় অনেকটাই। তাই নিজের চেকআপ যদি নিজের হাতেই থাকে, তাহলে অনেকেরই সুবিধা হয়। জেনে নিন এমন কিছু ঘরোয়া পরীক্ষা, যার মাধ্যমে জানতে পারবেন শরীর সুস্থ আছে কি না। এই পরীক্ষা ঘরে বসেই মাত্র ৩০ সেকেন্ডে করতে পারবেন-
পরীক্ষা ১- হাতের তালু ও আর্টেরিওস্কে¬রোসিস
এই পরীক্ষা করার সময়ে আপনার আঙুলগুলোকে মুঠো করে নিন। তারপর হাতের মুঠো শক্ত করে চেপে ধরুন। এই অবস্থায় ঠিক ৩০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন। তারপর ধীরে ধীরে হাত ছেড়ে দিন। হাতের মুঠো ছেড়ে দেওয়ার পরে লক্ষ্য করুন, তালু আগের চেয়ে? কিছুটা সাদা হয়ে গেছে। এটি রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে হয় এবার কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তারপর হাতের তালুর দিকে লক্ষ্য করুন। হাতের তালু স্বাভাবিক রঙে ফিরে যেতে কতটা সময় লাগলো তা দেখুন। যদি এ সময়ে আপনি অসাড় বোধ করেন বা রক্ত ফিরে আসতে বেশিক্ষণ লাগে, তা হলে এটি আর্টেরিওস্কে¬রোসিসের লক্ষণ হতে পারে। এটি এমন এক অবস্থা, যেখানে হৃৎপিন্ড থেকে শরীরের বাকি অংশে অক্সিজেন ও পুষ্টি বহনকারী রক্তনালীগুলো পুরু ও শক্ত হয়ে যায়। ফলে নানা সমস্যার তৈরি হয়।
পরীক্ষা ২- পাঁচ আঙুলে পাঁচ সমস্যা
পরবর্তী পরীক্ষার জন্য মাত্র ৫ সেকেন্ডই যথেষ্ট। এটি করার জন্য এক হাত দিয়ে অন্য হাতের নখের গোড়া চেপে ধরুন। আগের পরীক্ষার মতোই এক্ষেত্রেও নখ সাদা হয়ে যেতে পারে। তবে এই পরীক্ষার পরে রক্ত স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসতে ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় লাগে না। এক্ষেত্রে যদি আঙুলে ব্যথা ও অন্বস্থি অনুভব করেন, তাহলে তা হতে পারে-
>> বুড়ো আঙুলে ব্যথা শ্বাসকষ্টের সংকেত দিতে পারে।
>> তর্জনী কোলন বা পাচনতন্ত্রের সঙ্গে সম্পর্কিত সমস্যার ইঙ্গিত দেয়।
>> মধ্যমা কার্ডিওভাস্কুলার সমস্যার লক্ষণ বলতে পারে।
>> অনামিকায় সমস্যা হলে তা হৃৎপিন্ডের সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে।
>> অবশেষে ক্ষুদ্রতম আঙুল অর্থাৎ কনিষ্ঠা অন্ত্রের সমস্যার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে।
এই পরীক্ষায় প্রতিটি আঙুল শরীরের বিভিন্ন অংশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত থাকার কারণে সেসব প্রত্যঙ্গে নানা অনিয়ম শনাক্ত করতে সক্ষম।
পরীক্ষা ৩- দুই পায়ের সঙ্গে কোমর ও পেট
এই পরীক্ষার জন্য মেঝেতে টানটান হয়ে শুয়ে পড়ুন। দুই হাত দুই দিকে থাকুক মেঝের ওপরে উপুড় করে রাখা। মেরুদন্ড একেবারে সোজা রাখুন। এবার ধীরে ধীরে আপনার দুটো পা একসঙ্গে ওপরে তুলুন। আপনি যদি ৩০ সেকেন্ডের জন্য এই অবস্থান ধরে রাখতে সক্ষম হন, তাহলে সমস্যা নেই। তবে ৩০ সেকেন্ড না ধরে রাখতে পারলে বুঝবেন, আপনার পেট অথবা মেরুদন্ডের নীচের অংশে কিছু সমস্যা থাকতে পারে।
সূত্র: ডি ইন্ডিয়া
দেখা দেয়। এতে অন্যান্য সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এর জন্য আপনি নিতে পারেন কিছু চিকিৎসা।
চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা: ¯িøপ অ্যাপনিয়ার চিকিৎসা নির্ভর করে এর প্রকার ও তীব্রতার ওপর। (অবস্ট্রাাকটিভ ¯িøপ অ্যাপনিয়া ও সেন্ট্রাল ¯িøপ অ্যাপনিয়া আক্রমণের ওপর নির্ভর করে) মনে রাখবেন সেন্ট্রাল ¯িøপ অ্যাপনিয়া ব্রেন বা মস্তিষ্কের কারণে হয়। এর মূল কারণ সাধারণত হার্ট ফেইলিওর, লিভার ফেইলিওর এবং এ ধরনের অ্যাপনিয়ার চিকিৎসার মানে ওই সব রোগের চিকিৎসা করা।
তার আগে অভ্যাসগত জীবনযাত্রার কিছু দিক পরিবর্তন করতে হবে : শোয়ার স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে। কারণ চিত হয়ে শুয়ে থাকলে ¯িøপ অ্যাপনিয়া বাড়ে। সে জন্য একপাশে কাত হয়ে শোয়ার অভ্যাস করুন এবং যদি সাইনাস বা ফুসফুসের ফ্লেইমের কারণে নাক বন্ধ থাকে তাহলে যে দিক দিয়ে বন্ধ থাকে তার বিপরীত দিকে কাত হয়ে শোয়া ভালো। বালিশ দিয়ে ঘুমালেও খুব বেশি নরম বা ফোম জাতীয় তুলার বালিশ দিয়ে না শোয়া ভালো এবং বুকে জড়িয়ে ধরার বালিশ ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে শোয়ার বালিশ চার ইঞ্চি উঁচু থাকা ভালো। ওজন কমানোর চেষ্টা করেন বা মেদ ভুঁড়ি বেশি থাকলে তা নিয়ন্ত্রিত করার চেষ্টা করুন। এ ছাড়া অ্যালকোহল, ধূমপান, অতিরিক্ত চা-কফি পান থেকে বিরত থাকুন ও ঘুমের ওষুধ সেবন এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। টনসিলের প্রদাহ থাকলে তা যাতে রাতের বেলায় একটু স্থিতি হয়ে থাকে সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করুন (বেশির ভাগ টনসিলের প্রদাহ রাতের বেলায়ই বেশি প্রদাহ বাড়ে, সেজন্য হালকা গরম পানিতে লবণ দিয়ে কুলকুচি করতে পারেন)। এলার্জি, সর্দিকাশি ইত্যাদি থাকলে তা যতটুকু সম্ভব প্রতিহত করে রাখার চেষ্টা করুন সুষম খাবার ও ডায়েট করার চেষ্টা করুন।
নিয়মিত ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়ামের মধ্যে হাঁটা, সাঁতারকাটা এবং সাইকেল চালানোই সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। সেই সঙ্গে ¯িøপ অ্যাপ্নিয়ার জন্য থ্রোট এক্সারসাইজ এবং লাংস ক্যাপাসিটি রেগুলেশন এক্সারসাইজ নিয়মিত করতে পারেন। অবস্ট্রাকটিভ ¯িøপ অ্যাপনিয়ায় মূলত গলবিলের গহ্বর সঙ্কুচিত হয়ে থাকে বিধায় এর তিন রকমের চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করেন বিশেষজ্ঞরা : তার মধ্যে সবচেয়ে সফল চিকিৎসা হলো সিপিএপি (ঈচঅচ) বা কন্টিনিউয়াস পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেশার পদ্ধতি (ঈড়হঃরহঁড়ঁং চড়ংরঃরাব অরৎধিু চৎবংংঁৎব)।
লেখক : নাক, কান ও গলারোগ বিশেষজ্ঞ।


     এই বিভাগের আরো খবর