,

মাধবপুরে সরকারি খাল দখল করে ঘর নির্মাণ ॥ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস

নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ মাধবপুরে সরকারি খালে ঘর নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খালের পাড়ের উপর টিন শেড ঘর নির্মাণ করায় স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। মাধবপুর পৌর শহরের নতুন গরুর বাজার এলাকায় একটি খালের উপর ঘর নির্মাণ করেছে এক প্রভাবশালী মহল। তবে ঘর নিমার্তাদের দাবি তারা সরকারি জায়গায় নয় নিজেদের জায়গায় ঘর নির্মাণ করেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পৌর শহরের নোয়াগাঁও ব্রিজ থেকে নতুন গরুর বাজার যাবার রাস্তার মাঝে খালের উপর ঘর নির্মাণ করেছে বাড়াচান্দুরা গ্রামের কায়সার আহমেদ তার ভাই জাবেদ মিয়া, পূর্ব মাধবপুর গ্রামের সৈয়দ মিয়া পাঠান, মুরাদপুর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন। নতুন গরুর বাজার থেকে গঙ্গানগর এলাকায় যাবার রাস্তার পাশে খাল রয়েছে। খালের পাশে রাস্তা হওয়ায় পৌরসভার প থেকে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। কাউছার আহমেদ ও তার লোকজন গাইড ওয়ালের উপর ওয়াল দিয়ে একটি ঘর নির্মাণ করেছে। এই ভাবে খালের উপর ঘর নির্মাণ করায় চিরচেনা সেই খালটি তার নাব্যতা হারাতে পারে বলে মনে করেন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয় একজন নারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এক সময় এই খাল দিয়ে নৌকা যেত। কিন্তু দিন দিন খালটি সরু হয়ে যাচ্ছে। এই ভাবে খাল দখল হলে খালটি একদিন হারিয়ে যাবে। ঘর নির্মাতা কায়সার আহামেদ জানান, তিনি সহ ৪ জন পৌর শহরের গংগা নগর গ্রামের মৃত ফরচান ঋষির ছেলে সুশীল ঋষির নিকট থেকে ২ শতক জায়গা ক্রয় করেছেন। (মৌজা: মাধবপুর পশ্চিম, জে এল নং- ৮০, এস এ খতিয়ান নং- ৭৮, এস এ দাগ নং- ৬৮৩)। তিনি দাবি করেন তার ক্রয়কৃত জায়গায় তিনি ঘর নির্মাণ করেছেন। সুশীল ঋষি জানান, তার জায়গা ভেঙ্গে খালে চলে গেছে। তার জায়গাতে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। খালের পাশে রয়েছে সরকারি রাস্তা, রাস্তার পর খাল। জমি ভেঙ্গে যদি খালে গিয়ে থাকে তাহলে রাস্তার জায়গা কোথায়? এমন প্রশ্নে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। মাধবপুর পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক জানান, তার সময়ে এই ঘর নির্মাণ হয়নি। এটি সাবেক মেয়র হিরেন্দ্র লাল সাহার সময়ে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। তবে বিষয়টি প্রকৌশলী বিভাগ ভাল বলতে পারবে। পৌরসভার সার্ভেয়ার আশীষ জানান, তারা যে কাগজপত্র দিয়েছে সে অনুযায়ী অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নকশা বহির্ভুত কাজ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, বিষয়টি নিয়ে অনেকে অভিযোগ করছেন। সরকারী সার্ভেয়ার দিয়ে জায়গাটি মেপে দেখা হবে। সরকারি জায়গায় বা খাল দখল করে কাউকে স্থাপনা নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।


     এই বিভাগের আরো খবর