,

হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্টকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের

জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট সাইফুল ইসলামকে (২৫) প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার নিহতের বড় ভাই মনিরুল ইসলাম বাদি হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। তবে এ মামলায় দুজনকে সনাক্ত করা হয়েছে। অন্যান্যদের সনাক্ত করারও চেষ্টা চলছে। হত্যার রহস্য প্রায় উন্মোচনের পথে রয়েছে প্রশাসন। সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে রহস্যের ঝট খুলতে শুরু করেছে। অচিরেই অনুষ্ঠানিকভাবে হত্যার রহস্য নিয়ে প্রেস ব্রিফিং করা হবে। ঘটনার পর থেকেই দিনভর পুলিশ, ডিবিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা হবিগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে প্রকৃত রহস্য বের করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তবে এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে বিভাগের বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অব্যাহত আছে। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে শহরের টাউন হল এলাকায় স্যামসং শো রুমের সামনে সাইফুল প্রকাশ্যে দিবালোকে পিটিয়ে হত্যা করে একদল দুবৃত্ত। জানা গেছে, সাইফুলের মা বাবা কেউই বেচে নেই। সে নবীগঞ্জের পুরানগাঁও গ্রামের তাহমিনা বেগম চৌধুরী নামের এক নারীকে ধর্ম মা ডেকেছেন। তার কন্যা নাঈমা চৌধুরীর সাথে বিয়ের কথাবার্তা চলছে নবীগঞ্জের এক প্রবাসীর। সাইফুলের সাথে নাঈমার কথাবার্তার সূত্র ধরে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে এবং তাদের মাঝে সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিষয়টি ওই প্রবাসী জেনে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, হয়তবা এ কারণেও হত্যাকাণ্ডটি সংঘটিত হতে পারে। নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে তাহমিনা বেগম চৌধুরী সদর হাসপাতালে করোনা টিকা নিতে আসেন। টিকা নেওয়া শেষে সাইফুল তাহমিনা বেগমকে বাড়ি যেতে রিকশাযোগে নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে শহরের টাউন হল এলাকার স্যামসাং শো-রুমের সামনে কয়েকজন যুবক তাকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাৎক্ষণিক উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেটে ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়া পথে সাইফুল মারা যান। সাইফুলের সাথে থাকা নারী তাহমিনা বেগম চৌধুরী বলেন, ‘দুপুরে দুই যুবক রক্ত দিতে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে আসে। এ সময় সাইফুলের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা সাইফুলকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। তিনি বলেন- ‘সাইফুল আমাকে গাড়িতে তুলে দিতে রিকশা দিয়ে নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড (বর্তমান সিএনজি স্ট্যান্ড) উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। টাউনহল রোড এলাকার জুনিয়র হাই স্কুল এন্ড কলেজের রাস্তার প্রবেশমুখে রিকশা থেকে হঠাৎ তাকে টেনে নামায় এক যুবক। এ সময় পেছন থেকে আরও এক যুবক বড় একটি বাঁশ দিয়ে সাইফুলের মাথায় আঘাত করে। এরপর তারা সাইফুলকে মাটিতে ফেলে আবারও মারতে থাকে।’


     এই বিভাগের আরো খবর