,

আদৌ কি ভাই হত্যার বিচার পাবেন আইনজীবি সহকারি জামাল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধবপুর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের চাঞ্চল্যকর কৃষক বাহাদুর হত্যা মামলার এখনও বিচার হয়নি। আসামি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের ভাই আইনজীবি সহকারি জামাল হোসেন আদালতে নারাজি প্রদান করলে নারাজি গ্রহণ করে সিআইডিকে নির্দেশ দেয়া হয়। সেখানেও চলে গাফিলতি। বাদি অভিযোগ করেন, গত ১৩ জানুয়ারি তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজাপুর গ্রামে গিয়ে বাদি কিংবা তার মানিত স্বাক্ষিদেরকে কোনো কিছু জিজ্ঞেস না করে আসামিগণের লোকজনের স্বাক্ষী গ্রহণ করে। এমনকি তাদের সাথে আতাতের অভিযোগ রয়েছে। তিনি আদৌ কি তার ছোট ভাই হত্যার বিচার পাবেন তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। মামলার বাদি আইনজীবি সহকারি জামাল হোসেন অভিযোগ করেন, রাজাপুর গ্রামের মুসলিম মিয়ার পুত্র তার ছোট ভাই বাহাদুরকে একই গ্রামের দুলা মিয়ার পুত্র জিলু মিয়া তার ভাই মিলন মিয়া, বাছির মিয়া, হেফজু মিয়া, নাজমুল মিয়া, আব্দুল হক, দুলা মিয়া ও আব্দুর রউফসহ ৮ জন হত্যা করে। এ ঘটনায় জামাল মিয়া বাদি হয়ে হবিগঞ্জ কোর্টে মামলা করেন। যার নং- জিআর ৭২/২০। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফআইরগণ্যে রুজু করার জন্য মাধবপুর থানায় প্রেরণ করেন। পরবর্তীতে মামলাটি পিবিআইতে তদন্তের জন্য যায়। তদন্তকারী আমিনুল হক দীর্ঘ ১ বছর পার হলেও পিবিআইর তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামি গ্রেফতার না করে যোগসাজশ করে আদালতে আসামিগণ দ্বারা বর্শীভূত হয়ে তাদের পক্ষে প্রতিবেদন দেন। এ বিষয়ে নারাজি দিলে সিআইডিতে প্রেরণ করা হয়। অপরদিকে মামলার আসামিরা মামলাটি তুলে নিতে বাদিকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও প্রাণে হত্যার হুমকি প্রদর্শন করছে। তাদের ভয়ে হবিগঞ্জ শহরে বসবাস করে জজকোর্টে আইনজীবি সহকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে জামাল হোসেন।


     এই বিভাগের আরো খবর