,

মনে করেছিলাম ইভিএম চুরির বাক্স নির্বাচনের পর দেখলাম এটা ডাকাতির বাক্স– তৈমূর

সময় ডেস্ক ॥ বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পদ থেকে বহিষ্কৃত অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আমি কথা বলে যাবো। তবে আমার জন্য আরেকটা জিনিস ফরজ হয়ে গেছে, সেটা হল ইভিএম দিয়ে যেন কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে না যায়। কারণ আমি মনে করেছিলাম এটা চুরির বাক্স। কিন্তু নির্বাচনের পরে দেখেছি, এটা ডাকাতির বাক্স। গতকাল বুধবার নিজের পুরনো আইন পেশায় উচ্চ আদালতে (হাইকোর্ট) কাজে ফিরে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে নির্বাচন, নিজের পারিবারিক নানা কাজ, নিজের নেতাকর্মীদের জামিনের জন্য বেশ কিছুদিন নারায়ণগঞ্জে অবস্থান করছিলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, আমি রাজনীতিতে অত্যন্ত সক্রিয় ছিলাম, কলাম লিখতাম। এর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বিশেষত প্রতিবন্ধী সংগঠনগুলো করতাম। বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার চেয়ারম্যান ছিলাম। জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলাম। জাতীয় চারটা পত্রিকায় আমার কলাম ছাপা হত। দেশের বাইরেও কয়েকটি বাংলা পত্রিকায় আমার কলাম ছাপা হত। এখন আমার মূল পেশা হল আইনজীবী। আমি ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে শুরু করে চীফ জাস্টিস আদালত পর্যন্ত ওকালতি করি। আমি অ্যাপিলেট ডিভিশনের একজন আইনজীবী। নির্বাচনের সময় আমার ৩৫ জন লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে, যারা নির্বাচনে কাজ করছিল। তাদের জামিনের জন্য কোর্টে গিয়েছি। এখন আগের মতই নিয়মিত আইন পেশায় নিয়জিত থাকবো। তিনি বলেন, এই কয়েকদিন আমার লোকজনের জামিনের জন্য আমি ব্যস্ত ছিলাম। ইতোমধ্যে অর্ধেক লোক জামিন পেয়ে গেছে। বাকিগুলো জামিন হওয়ার পর আমি পুরোপুরি আইন পেশায় নিয়োজিত থাকবো। আমি মানুষের মাঝেই ছিলাম। আমাকে ডাকলেই তারা কাছে পাবে। প্রসঙ্গত, গত ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে তৈমূর আলম স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে মেয়র পদে নির্বাচন করেছিলেন। নির্বাচন আগেই তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পদ থেকে প্রত্যাহার করা হয়। নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর তাকে উপদেষ্টা পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এমনকি তার নির্বাচনী প্রধান এজেন্ট নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটি এম কামালকেও তার পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর