,

অবৈধ স্ট্যাম্পসহ আটক নুরুল হক কারাগারে ॥ করা হচ্ছে রিমান্ড আবেদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহর থেকে প্রায় তিন লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ রেভিনিউ স্ট্যাম্পসহ আটক নূরুল হক (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে অচিরেই তার বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হচ্ছে বলে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জ আদালত পাড়ায় এক শ্রেণির কালোবাজারি বিভিন্ন জেলা থেকে নকল স্টাম্প, কোর্ট ফি, কার্টিজ পেপার এনে বিচার প্রার্থী ও আইনজীবিদের কাছে বিক্রি করছে। অনেকেই এসব নকল স্টাম্প ও কোর্ট ও ফি বিক্রি করে শূণ্য থেকে লাখ লাখ টাকার মালিক হয়েছে। কেউ কেউ হবিগঞ্জ শহরে আলীশান বাড়িও তৈরি করেছে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসনের নজরে আসে। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মোঃ আল আমিনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গত মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে শহরের বেবিস্ট্যান্ড এলাকার এসএ ট্রেডার্স নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায়। এ সময় প্রায় ৩ লাখ টাকার নকল স্টাম্প, কোর্ট ফি, রেভিনিউ স্টাম্প, কার্টিজ পেপার উদ্ধার করা হয়। তখন দূর্লভপুর গ্রামের বাসিন্দা স্টাম্প ভান্ডার সফিকুল ইসলাম সফিকের পুত্র নুরুল হককে আটক করা হয়। তবে নুরুল হকের নামে লাইসেন্স না থাকলেও বাবার লাইসেন্স ব্যবহার করে সে এ ব্যবসা পরিচালনা করে। জানা যায়, প্রতিদিন হবিগঞ্জ কোর্টে মামলার কাজে হাজার হাজার টাকার কোর্ট ফি, রেভিনিউ স্টাম্প, কার্টিজ পেপার, পলি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু কে জানে এগুলোর মাঝে নকল রয়েছে। নুরুল হকের গ্রেফতারের খবর চাওর হলে আদালত পাড়ায় আইনজীবি বিচার প্রার্থীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। কারণ জাল টাকা চেনার উপায় থাকলেও নকল স্টাম্প ও কোর্ট ফি চেনার উপায় নেই বলে অনেক আইনজীবি মন্তব্য করেন। এ ব্যাপারে ডিবি পুলিশ বাদি হয়ে নুরুল হককে প্রধান করে অজ্ঞাত দুইজনকে আসামি করে মামলা করে। গতকাল বুধবার বিকেলে নুরুল হককে কোর্টের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আল আমিন জানান, নুরুল হককে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং ওই জালিয়াত চক্রের সাথে কারা কারা জড়িত তা বের করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর