,

বাহুবলে সুমন মুণ্ডা হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারে পুলিশ সুপারের আশ্বাস

জুয়েল চৌধুরী : বাহুবল উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের মধুপুরের পাশে বন বিট থেকে সুমন মুন্ডা হত্যার রহস্য উদঘাটন ও জড়িতদের দ্রুত সময়ে গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলি। তিনি গতকাল বুধবার সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি এলাকার লোকজন ও নিহতের আত্মীয় স্বজনদের সাথে কথা বলে ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপে তদন্ত পূর্বক দ্রুত সময়ে জড়িতের গ্রেফতারের আশ্বাস দেন। প্রসঙ্গত, গত (১৫ জানুয়ারি) শনিবার দুপুর একটার দিকে মধুপুরের পাশে বন বিট থেকে সুমন মুন্ডার ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করা হয়। সুমন মুন্ডা মধুপুর বাগানের পরিমল মুন্ডার ছেলে। পুলিশ ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ ডিসেম্বর ফেসবুকে ছবি পোস্ট নিয়ে সুমন মুন্ডার সাথে প্রতিবেশী সুনীল মুন্ডার ছেলে বুধু মুন্ডার বাক-বিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে বুধু মুন্ডা উত্তেজিত হয়ে সুমনকে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করলে পার্শ্ববর্তী লোকজন তাদের থামিয়ে দেয়। পরে দুজন দুইদিকে চলে যায়। ওইদিন দুপুরে বনবিটে লাশ পাওয়ার বিষয়ে সুমনের মা বাণী মুন্ডা জানান, ২৩ ডিসেম্বর আমার ছেলের সাথে বুধু মুন্ডার ঝগড়া হয়ে বলে আমাকে আমার পাশের বাড়ির মহিলা জানালে, আমি বাগান সভাপতিকে জানাই। বাগান সভাপতি বলেন অপো কর আমি বিষয়টি দেখে দিব। তিনি আর কি দেখবেন? ওইদিন বৃহস্পতিবার থেকে আমার ছেলে বাড়িতে ফিরে নাই। আমি শুনছি পাহাড়ে আমার ছেলের লাশ পাওয়া গেছে। আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলেকে কে বা কারা মেরে পাহাড়ের ভিতরে রেখেছে। সুমনের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফেসবুকে বুধুর বোন মুক্তা মুন্ডার ছবি পোস্ট করে সুমন মুন্ডা। এরই জের ধরে বুধু ও সামনের মাঝে বাক-বিতন্ডা ঘটে ২৩ ডিসেম্বর সকালে। এরপর হতে সুমন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনার ২২ দিন পর ১৫ জানুয়ারি পুটিজুরি বনবিটের ভিডিও ফাস্ট টিলা নামক স্থান থেকে অর্ধগলিত ঝুলন্ত অবস্থায় সুমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার মা বানী মুণ্ডা থানায় মামলা দায়ের করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর