,

নবীগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন :: স্বল্প পরিসরে কর্তন শুরু

ধান কাটতে কম্বাইন হারবেস্টার প্রস্তুত ৩৩টি :: বিতরণ

হবে ১৫টি :: অন্যান্য অঞ্চল থেকে আসবে ২০টি

জাবেদ তালুকদার : নবীগঞ্জে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর মোট ১৮ হাজার ৮ শত ৪৫ হেক্টর জমিতে বোরো রোপন করা হয়েছে এর মধ্যে ৫ হাজার ৪ শত ১৫ হেক্টর হাওড়াঞ্চলের ভূমি ও ১৩ হাজার ৪ শত ৩০ হেক্টর নন হাওর ভূমি। ইতিমধ্যেই স্বল্প পরিসরে ধান কর্তন শুরু করা হয়েছে। তবে এ পর্যন্ত কোন ফসলহানির খবর পাওয়া যায়নি। ধান শতকরা ৮০ ভাগ পাকা মাত্রই দ্রুত সংগ্রহ করতে কৃষকদের প্রতি আহবান জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়- চলতি মৌসুমে নবীগঞ্জে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ১৯ হাজার ৫ শত ৮০ হেক্টর। এর মধ্যে মোট ১৮ হাজার ৮ শত ৪৫ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। উৎপাদনের ল্যমাত্রা ১ লক্ষ ৮ হাজার মেট্রিক টন। যা গত বছরের তুলনায় ১০ হাজার মেট্রিক টন বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উফশী জাত ৯ হাজার ৬ শত ৭০ হেক্টর, হাইব্রিড জাত ৯ হাজার ১ শত ৬০ হেক্টর এবং স্থানীয় জাত ১৫ হেক্টর আবাদ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত মকার হাওর ও ঘুঙ্গিয়াজুরি হাওরের ১৫ হেক্টর ধান কর্তন করা হয়েছে। ফলন বাম্পার হওয়ায় শ্রমিক শংকটের আশংকা থাকলেও কৃষি বিভাগ বলছে, যান্ত্রিক নির্ভর হলে শ্রমিক সংকট থাকবে না। ধান কর্তনের জন্য কম্বাইন হারবেস্টার ৩৩টি প্রস্থত আছে। ৭০% ভর্তুকিতে আগামী ১ সপ্তাহে আরও ১৫টি কম্বাইন হারবেস্টার বিতরণ করার কথা রয়েছে এবং অন্যান্য অঞ্চল থেকে প্রায় ২০টির মতো মেশিন আসবে। তাছাড়া ইতিমধ্যে সিরাজগঞ্জ, পাবনা থেকে কৃষি শ্রমিক আসা শুরু হওয়ায় ধান কাঠার শ্রমিক সংকঠে পড়তে হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ.কে.এম মাকসুদুল করিম বলেন হাওরে বন্যা পরিস্থিতি নজরদারিতে রাখা হয়েছে। নবীগঞ্জের হাওরে এখনও পানি প্রবেশের ঘটনা ঘটেনি। কুশিয়ারা নদীর পানি বিপদসীমার নীচে রয়েছে। চলতি সপ্তাহে সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বে মেঘালয় ও আসাম হতে পাহাড়ী ঢল এ বছর বোরোধান সংগ্রহে বড় চ্যালেঞ্জ। সকলকে সম্মিলিতভাবে হাওরের বাঁধ রায় সচেষ্ট থাকতে ও ধান শতকরা ৮০ ভাগ পাকা মাত্রই দ্রুত সংগ্রহ করতে কৃষকদের প্রতি আমাদের আহবান তিনি।


     এই বিভাগের আরো খবর