,

বাহুবলে ইউএনও, শিক্ষা অফিসার ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলের হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ব্যাপক জালিয়াতির মাধ্যমে দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। চাকুরীকালে ভূয়া শিক্ষাগতযোগ্যতার সনদ ও জাল জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করেন নিয়োগপ্রাপ্ত দপ্তরী অরবিন্দু চন্দ্র দাশ। এ অভিযোগ এনে উক্ত নিয়োগাদেশ অবৈধ ঘোষণা চেয়ে গতকাল সোমবার হবিগঞ্জের সহকারী জজ আদালত (বাহুবল)-এ একটি সত্ত্ব মামলা দায়ের করেছেন স্থানীয় হোসেনপুর গ্রামের রানু চন্দ্র দাস-এর পুত্র রুবেল চন্দ্র দাস। তিনি ওই মামলায় অরবিন্দু চন্দ্র দাশসহ, ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, নিয়োগ কমিটির সদস্য, উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার, শিক্ষা অফিসার, হিসাব রক্ষণ অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে বিবাদীভূক্ত করেছেন। বাদীর পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন এডভোকেট রাজীব কুমার দেব তাপস। সূত্র জানায়, বাহুবল উপজেলার হোসেনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আউট সোর্সিং-এর মাধ্যমে দপ্তরী কাম নৈশ্য প্রহরী নিয়োগের জন্য বিগত ২০১২ সনের ৯ ডিসেম্বর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। এ আলোকে ওই পদে নিয়োগ লাভের আশায় স্থানীয় হোসেনপুর গ্রামের অরবিন্দু চন্দ্র দাশ, রুবেল চন্দ্র দাশ ও অচিন্ত চন্দ্র দাশ সহ ৫ জন আবেদন করে। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের নিয়োগ কমিটি বৈধ ৪ প্রার্থীকে নিয়োগ পরীক্ষায় ডাকা হয়। বিগত বছরের মে মাসের প্রথম দিকে অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষায় রুবেল চন্দ্র দাস ১ম স্থান লাভ করেন। এ অবস্থায় তার নিকট ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। ঘুষ না দেয়ায় বিগত বছরের ৯ জুন উপজেলা শিক্ষা অফিসে পূনরায় নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায়ও রুবেল প্রথম স্থান অধিকার করলেও নিয়োগ কমিটির লোকজন অবৈধ সুবিধা প্রাপ্তির মাধ্যমে অরবিন্দু চন্দ্র দাশকে প্রথম স্থান অধিকারী দেখিয়ে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করেন। এ প্রেক্ষিতে অরবিন্দু চন্দ্র দাশকে কর্তৃপক্ষ নিয়োগ প্রদান করে। পরবর্তীতে রুবেল চন্দ্র দাস উক্ত পদে নিয়োগ প্রাপ্ত অরবিন্দু চন্দ্র দাশ-এর দাখিলকৃত স্কুল সার্টিফিকেট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি উত্তোলন করেন। স্কুল সার্টিফিকেটের কপিটি নিয়ে স্থানীয় ফতেহপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান এটি ভূয়া সনদপত্র। এছাড়া দাখিলকৃত জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপিতে দেখা যায় আইডি নং ও জন্ম তারিখ নেই। এ অবস্থায়, গতকাল সোমবার রুবেল চন্দ্র দাস বাদী হয়ে হবিগঞ্জের সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়ের করে উক্ত নিয়োগ বাতিল করে রুবেল চন্দ্র দাসকে নিয়োগাদেশ প্রার্থনা করেন।


     এই বিভাগের আরো খবর