,

হবিগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জে হাত বাড়ালেই মিলছে ইয়াবা

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জে হাত বাড়ালেই এখন ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়। এক শ্রেণির যুবকরা অন্য কোনো পেশা না পেয়ে মাদক ব্যবসা বেঁছে নিয়েছে। এতে সময় ও পরিশ্রম কম হলেও লাভ হয় বেশি। খবর নিয়ে জানা যায়, প্রশাসনের অধিকাংশ সোর্সই এসব ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। ইয়াবা এখন যে কোনো স্থানেই মিলছে। এতে করে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা নেশার পথে পা বাড়াচ্ছে। মাদকের টাকার জন্য মা বাবার ওপর অত্যাচার করছে। গত ১ সপ্তাহে জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদকের টাকার জন্য মা বাবাকে মারপিট করায় ৭ ছেলেকে ভ্রাম্যামান আদালত বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। আবার অনেককে পুলিশ গ্রেফতার করে কারাগারেও পাঠিয়েছে। তারপরও মাদক দমন করা যাচ্ছে না। জানা যায়, আইন শৃংখলা বাহিনীর সোর্সরা এসব মাদক ব্যবসা করায় বরাবরের মতোই তারা থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। শায়েস্তাগঞ্জের রেল স্টেশনের কামাল মিয়া, রুমেল মিয়া, বিরামচরের কাজল মিয়া, নিজগাঁও ইদ্রিস মিয়া, মহলুল সুনামের বাবুল মিয়া, জগন্নাথপুর, লেঞ্জাপাড়া, হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগরের জামাই সুমন, রুবেল, আব্দুল আহাদ, বাবুল রায় বাবুল, ২নং পুল বড় বহুলার রুবেল মিয়া, জুবেল মিয়াসহ আরও অনেকেই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। এদের মধ্যে সকলকেই পুলিশ মাদকসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে। আইনের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে এসে পুনরায় মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ে। তবে এদের মধ্যে অনেকেরই বিরুদ্ধে ২০/২৫টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া শহরের বিভিন্ন এলাকায় চিহ্নিত মাদকের স্পট রয়েছে। আর এসব স্পটে সন্ধ্যার পর থেকেই মাদক ব্যবসা চলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীরা জানান, এ ব্যবসায় পরিশ্রম কম, লাভ বেশি। তাই এ পথ বেঁছে নিয়েছে। নবাগত ডিবির ওসি শফিকুল ইসলাম ও সদর মডেল থানার ওসি গোলাম মর্তুজা যোগদানের পরই গোপনে তথ্য নিয়ে বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীর তালিকা তৈরি করে বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীরা বরাবরেই মতোই থেকে যায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। তবে তারা জানান, মাদক ব্যবসার সাথে যে কেউই জড়িত থাকুক কাউকে ছাড় দেয়া হবে। অভিযান নিয়মিত চলবে।


     এই বিভাগের আরো খবর