,

নির্ধারিত রিজিক আসবেই

সময় ডেস্ক : রিজিক তথা জীবিকা ও জীবনোপকরণ মানুষের জীবনধারণের অপরিহার্য একটি বিষয়। জীবনের প্রতিটি ধাপে ধাপে রিজিকের চাহিদা ও প্রয়োজনীয়তা মানুষ তুমুলভাবে অনুভব করে। সংসারজীবনে আর্থিক টানাপড়েন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিসহ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক যেকোনো সংকট পরিস্থিতিতে মানুষের প্রধানত দুশ্চিন্তা থাকে এই রিজিক নিয়ে। সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা এই রিজিককে ঘিরে আবর্তিত হয় প্রতিনিয়ত। রিজিক শুধু অর্থকড়ি নয়। ঈমান-আমল, ইলম ও নেককার স্ত্রী-সন্তানসহ মানুষের সামগ্রিক জীবনের বৈধ সব উপায়-উপকরণই রিজিকের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু মানুষের আবশ্যকীয় এই জীবনোপকরণ আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ভূপৃষ্ঠে বিচরণকারী সবার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহরই। তিনি এদের স্থায়ী ও অস্থায়ী অবস্থিতি সম্বন্ধে অবহিত; সুস্পষ্ট কিতাবে (জীবনধারণের) সব কিছুই লিপিবদ্ধ আছে। ’ (সুরা হুদ, আয়াত- ৬) পূর্ব নির্ধারিত ও আল্লাহর ইচ্ছাধীন এই রিজিক নিয়ে তবু মানুষ নানা হতাশায় জর্জরিত হয়। অনৈতিক ও অবৈধ পন্থায় অধিক রিজিক অন্বেষণে লালায়িত থাকে। এটা মানবিক দুর্বলতা। তবে একজন প্রকৃত মুমিনের বৈশিষ্ট্য হলো, বৈধ উপায়ে আল্লাহ প্রদত্ত রিজিক ও উত্তম জীবনোপকরণের ওপর সন্তুষ্ট থাকা। কারণ ব্যবসা, চাকরি ও চাষাবাদসহ দুনিয়ার বাহ্যিক উপায়-উপকরণকে রিজিক আসার মাধ্যম মনে করা হলেও কোরআনের ঘোষণা অনুযায়ী রিজিকের ব্যবস্থা হয় আসমান থেকে। আল্লাহ বলেন, ‘আকাশে আছে তোমাদের রিজিক ও প্রতিশ্রুত সব কিছু।’ (সুরা জারিয়াত, আয়াত- ২২)
দুনিয়ায় রিজিকের প্রাচুর্যতা ও সংকীর্ণতা আল্লাহর সন্তুষ্টি কিংবা অসন্তুষ্টির প্রমাণ নয়। আল্লাহ তাঁর অপ্রিয় কোনো বান্দাকে সচ্ছল জীবনযাপনের সুযোগ দিতে পারেন, আবার কোনো প্রিয় বান্দাকে রাখতে পারেন অভাব-অনটন ও দুঃখ-কষ্টে। বিপরীত বাস্তবতাও ঘটতে পারে। তা ছাড়া এই সচ্ছলতা ও অসচ্ছলতা যে কারো ক্ষেত্রে ক্ষণিক সময়ের জন্যও আসতে পারে। মূলত রিজিকের এই কম-বেশি ও উত্থান-পতন আল্লাহর পক্ষ থেকে পরীক্ষাস্বরূপ। ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তাদের বিভিন্ন শ্রেণিকে পার্থিব জীবনের সৌন্দর্যস্বরূপ উপভোগের উপকরণ হিসেবে দিয়েছি, এর মাধ্যমে তাদের পরীক্ষা করার জন্য। তোমার রবের রিজিক উৎকৃষ্ট ও অধিক স্থায়ী। ’ (সুরা ত্বহা, আয়াত- ১৩১)


     এই বিভাগের আরো খবর