,

কুর্শি ইউনিয়নে আসবাবপত্র সমজিয়ে না দেয়ায় সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান সামছুলের বিরুদ্ধে ডিসি বরাবর অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার : নবীগঞ্জ উপজেলার ৬নং কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদের আসবাবপত্র ও সরঞ্জামাদি নব-নির্বাচিত পরিষদকে সমজিয়ে না দেয়ায় জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ৩০ মে ২০২২ইং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ এ অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় চলতি বছরের ১৮ই জানুয়ারী ৬নং কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান শাহ সামছুল ইসলাম নব-নির্বাচিত পরিষদের প্রথম সভায় আর্টিকেল ৪৭ অনুযায়ী বর্তমান পরিষদকে দায়িত্ব সমজিয়ে দেন এবং পরবর্তীতে পরিপূর্ণ চার্জলিস্ট অনুযায়ী দায়িত্বভার সমজিয়ে দেয়ার জন্য সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। গত ২৩ জানুয়ারী পরিষদের সভায় প্যানেল চেয়ারম্যানের চার্জলিষ্ট অনুযায়ী পরিপূর্ণ আসবাবপত্র-সরঞ্জামাদি ও আসবাবপত্র রেজিষ্টার খাতাটি হস্তান্তর করতে পারেন নাই। যেসব আসবাবপত্র-সরঞ্জামাদি অফিসে রক্ষিত আছে, সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান তা চার্জলিস্ট আকারে নব-নির্বাচিত পরিষদের কাছে হস্তান্তর করেন। চার্জ লিস্টসমূহ পর্যালোচনা করে দেখা যায়- ২টি এসি, ১টি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ১টি ল্যাপটপ, ১টি ডিজিটাল ক্যামেরা, ২৪টি হাতওয়ালা কাঠের চেয়ার, ১০টি প্লাস্টিকের চেয়ার, ৩টি কৃষি স্প্রে মেশিন, ১টি সিলিং ফ্যান এবং আসবাবপত্র রেজিস্টার অত্র ইউনিয়ন পরিষদে রক্ষিত নেই। সাবেক ইউপি সদস্য পারছু মিয়া, অফিস স্টাফ ও গ্রাম পুলিশগণ জানান- বিভিন্ন দাতাগণ ১টি জেনারেটর, ৩টি বড় স্ট্যান্ড ফ্যান ও ১টি ডেক্সটপ কম্পিউটার অত্র পরিষদে দান করেছিলেন। তা আসবাবপত্র রেজিষ্টার খাতায় লিপিবদ্ধ থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদে রক্ষিত নেই। বিগত ২৩ জানুয়ারী পরিষদের সভায় রেজিষ্টার অনুযায়ী পরিপূর্ণ আসবাবপত্র-সরঞ্জামাদি প্রদানের আশ্বাস দেন শাহ সামছুল ইসলাম। ১৫ ফেব্রুয়ারীর সভায় রেজিষ্টার অনুযায়ী পরিপূর্ণ চার্জলিষ্ট সমজিয়ে দেয়ার জন্য পুনঃরায় সময় প্রদান করা হলেও তিনি তা প্রদান করেন নি। পরে বিগত ১৮ এপ্রিল পরিষদের সভায় শাহ সামছুল ইসলাম আসবাবপত্র, রেজিষ্টার অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের পরিপূর্ণ আসবাবপত্র-সরঞ্জামাদি নবনির্বাচিত পরিষদকে হস্তান্তর না করায় বিষয়টি সম্পর্কে উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান খালেদ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ নিয়ে পুরো ইউনিয়নজুড়ে আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর