,

নবীগঞ্জে গণতন্ত্র হত্যা দিবসের বিক্ষোভ মিছিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও পুলিশের যৌথ হামলা

৭১ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার ৬

মতিউর মিয়া : নবীগঞ্জে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বিক্ষোভ মিছিলে যুবলীগ- ছাত্রলীগ ও পুলিশের যৌথ হামলার ঘটনার ঘটেছে। এ সময় গ্রেফতার করা হয়েছে যুবদল ও ছাত্রদলের ৬ নেতাকর্মীকে। গতকাল শুক্রবার সকালে নবীগঞ্জ শহরের নতুন বাজার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- পৌর যুবদলের সভাপতি শাহেদুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ রিপন, নবীগঞ্জ কলেজ ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল ফাত্তাহ চৌধুরী, ছাত্রদল নেতা আবুল কাশেম,
ছাত্রদল নেতা আলিমুল ইসলাম, কলেজ ছাত্রদল নেতা শাহ শাহীন আহমেদ তপু। ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন বিতর্কিত নির্বাচনকে উদ্দেশ্য করে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন। বিক্ষোভ মিছিলটি নবীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নতুন বাজার মোড়ে আসা মাত্রই উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম ও উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান হাবিবের নেতৃত্বে প্রায় অর্ধশতাধিক সরকারদলীয় নেতাকর্মী হামলা চালায় বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীর উপর। এক পর্যায়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশও এসে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের উপর। এর পর রাতব্যাপী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে যুবদল ও ছাত্রদলের ৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে পুলিশ বাদী হয়ে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের প্রায় ৭১ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, গ্রেফতারকৃতরা সরকার বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত। তারা সরকারে বিরুদ্ধে মিছিল দিচ্ছিল। এ সময় পুলিশের উপর হামলা চালায় তাই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
এদিকে উপজেলার বিলপাড় গ্রামের আবুল ফাত্তাহ চৌধুরীর পিতা আবুল হাসিম চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে নিরীহ। সে ছাত্রদলের বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়ে যেত। সৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।’ গ্রেফতারকৃত ওপর আসামী শাহ শাহীন আহমেদ তপুর পিতা আব্দুল মমিন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার ছেলে সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বারবার হয়রানী করা হচ্ছে। ক্ষমতাসীন দলের নেতারা আমাদেরকে সামাজিকভাবেও কোনঠাসা করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। স্বাধীন বাংলাদেশে কি কোন বাক স্বাধীনতা নেই? আমরা এর প্রতিকার চাই।’


     এই বিভাগের আরো খবর