,

বাই, লেগবাই রানে বরকত আনে

সময় ডেস্ক : ব্যাট অথবা ব্যাটসম্যানকে স্পর্শ না করে উইকেটকিপারকে ফাঁকি দিয়ে যে আইনসিদ্ধ বলটি (ওয়াইড অথবা নোবল ডাকা হয়নি এমন বল) ব্যাটিং দলের রান তোরঙ্গে বাড়তি রান যোগ করে, তা বাই নামে পরিচিত। আম্পায়ার ‘বাই’ সঙ্কেত জানিয়ে রান বা রানগুলোর বৈধতা ঘোষণা করেন। অন্যদিকে ওয়াইড বা নোবল ডাকা হয়নি এমন বল যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে স্ট্রাইকারের ব্যাট ধরা হাতটি বাদে দেহ বা পোশাক স্পর্শ করে গমনপথ থেকে সরে যায় এবং কোনো রান যদি সংগৃহীত হয়, তবে আম্পায়ার ‘লেগবাই’ সঙ্কেত দেবেন এবং সংগৃহীত রানগুলো যথারীতি লেগবাই লেবেলে ব্যাটিং দলের স্কোরে জমা হবে। লেগবাই সঙ্কেত প্রদানের আগে আম্পায়ার দুটো শর্ত বিবেচনায় আনেন। প্রথমত ব্যাটসম্যান ব্যাট দিয়ে বলটি খেলার চেষ্টা করেছেন কি না, দ্বিতীয়ত বলটি থেকে আঘাত এড়াতে চেয়েছেন কি না। কিন্তু আম্পায়ার যদি লক্ষ্য করেন, রান নেয়ার চেষ্টা চলছে না বা বল বাউন্ডারিতে পৌঁছাচ্ছে অথবা ব্যাটসম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে বলটি দেহ বা পোশাকে লাগানোর চেষ্টা করেছেন, তখন আম্পায়ার লেগবাই বাতিল করে ডেড বলের সঙ্কেত দেবেন। ক্রিকেট আইনে (১৮৩৫) বলা হয়েছে, ব্যাটের দৈর্ঘ্য হবে ৩৮ ইঞ্চি। কিন্তু আবার অন্য আইনে ব্যাটসম্যানের ব্যাট ধরা হাত বা হাত দুটোকে ব্যাটের অংশ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে (কি চমৎকার বৈপরীত্য!)। তাই ব্যাটসম্যানের হাতে লেগে রান হলে তা লেগবাই হিসেবে স্বীকৃতি না পেয়ে সংগৃহীত রান হিসেবেই ব্যাটসম্যানের খাতায় জমা হয়। চিন্তার স্বেচ্ছাচারিতা কাকে বলে দেখুন! ক্রিকেট আইন প্রণেতারা স্ট্রাইকিং ব্যাটসম্যানের দেহ আর পোশাককে পা মনে করেন। তাই দেহ ও পোশাকে লেগে গতিপথ পরিবর্তিত হয়ে যে রান আসে তার গায়ে লেগবাইয়ের লেবেল চাপানো হয়। যুক্তির মাহাত্ম্য বটে! হাত হলো ব্যাটের অংশ আর দেহ ও পোশাক হলো পায়ের অংশ! আসলে বোলারদের জন্য বাই ও লেগবাই সত্যিকারের আশীর্বাদ। কারণ ব্যাট চালানোর জন্য কসরত না করেও রান পাওয়া যায়। সম্ভবত বলটা মাঝে মাঝে ফিল্ডিং সাইডকে সারপ্রাইজ দেয়ার জন্য গুডবাই বলে এবং এই ফাঁকে বাই আর লেগবাই রান স্কোর বোর্ডে অনাহূত (!) প্রবেশ করে! তবে এটা ঠিক যে, বাই বাই বলুন আর গুডবাই বলুন বাই আর লেগবাই রান ব্যাটিং সাইডের স্কোর স্ফীত করার একটি স্বীকৃত মওকা। সম্পাদনা: জিয়া


     এই বিভাগের আরো খবর