,

নবীগঞ্জ উপজেলার সাবেক মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আলমের বিরুদ্ধে সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জ নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শিকার্প হ্যাচারী ও বানিয়াচং উপজেলার সাবেক মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমের বিরুদ্ধে সিলেট সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ৯২/২০২২নং মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টিগেন হবিগঞ্জ পিবি আইকে তদন্ত করার আদেশ প্রদান করেন, ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক সিলেট জেলা ও দায়রা জজ মো. আবুল কাশেম। গত ১৪ জুন মামলাটি দায়ের করেন, হবিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মাছরাঙা টেলিভিশন এর হবিগঞ্জ প্রতিনিধি চৌধুরী মো. মাসুদ আলী ফরহাদ। মামলায় উল্লেখ করা হয়, স্থানীয় ৮৯ জন মৎস্যজীবি ও ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৯ জানুয়ারী সকালে মৎস্য অধিদপ্তর ঢাকা থেকে মোহাম্মদ আলমের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে একটি তদন্ত দল আসে কুর্শির্কাপ হ্যাচারীতে। সে সময় সংবাদ সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে যান চৌধুরী মো. মাসুদ আলী ফরহাদসহ কয়েকজন সাংবাদিক। ঐ সময় গাছ কাটা ও পুকুরের পোনা মাছ আছে কিনা তা পরিদর্শনের ভিডিও ফুটেজ তুলতে গেলে হ্যাচারী কর্মকর্তা আলম বাঁধা প্রদান ও উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিকদের গাল মন্দ করে। পরে তথ্য আইনে তথ্য দিতে অপারগতা প্রকাশ ও সংবাদ প্রচার না করতে সরকার দলীয় নেতা ও স্থানীয় হলুদ সাংবাদিকদের দিয়ে অনুরোধ করায় আলম। মামলার বাদী সাংবাদিক চৌধুরী মো. মাসুদ আলী ফরহাদ জানান, আলম দীর্ঘ নয় বছর নবীগঞ্জের কুর্শিকার্প হ্যাচারীতে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তার অনিয়ম ও দূর্নীতির একাধিক সংবাদ জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ২০২০ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারী মাছরাঙা টেলিভিশনে আলমের অনিয়ম ও দূর্নীতির বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার হলে সে বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন ও তার নিজস্ব ফেইসবুক আইডি থেকে আমাকে আক্রমণাত্মক ভীতি. মানহানিকর উক্তি ও আদালতে দেখা হবে বলে হুমকি প্রদান সাংবাদিকদের মানববন্ধন দায়িত্বহীন আচরণসহ নানা ধরনের পোস্ট প্রদান করে। মামলাটি পরিচালনা করেন, হবিগঞ্জের অ্যাডভোকেট প্রতীম গোপ, সিলেটের মারজিনা আমিন চৌধুরী ডায়না ও মো.মজিদুর রহমান। মামলায় হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি রাসেল চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আহমেদ খানসহ ১৩ জনকে সাক্ষী করা হয়।


     এই বিভাগের আরো খবর