,

নবীগঞ্জে ওয়াক্ফকৃত কবরস্থানের ভূমি জবর দখলের চেষ্টা :: জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের

স্টাফ রিপোর্টার : নবীগঞ্জ উপজেলার ৯নং বাউসা ইউনিয়নের মাইজগাাঁও এলাকায় ওয়াক্ফকৃত কবরস্থানের ভূমি জবর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে একটি দাঙ্গাবাজ চক্র। এ বিষয়ে মাইজগাাঁও জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লি মৃত ওবায়দুল হক চৌধুরীর পুত্র এনামুল হক চৌধুরী একই গ্রামের আব্দুস শহীদের পুত্র আব্দুল গণি, মৃত ছুরত উল্লার পুত্র ফরিদ উল্লা ও মৃত গরীব উল্লার পুত্র আব্দুল হান্নানের বিরুদ্ধে গত ১৪/০২/২০২২ইং জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের মাইজগাঁও জামে মসজিদ সংলগ্ন এনামুল হক চৌধুরী গং পূর্ব পুরুষদের ওয়াকফকৃত দলিল নং- ৯০/১৯৩১ মূলে বাউশা মৌজার জেএল নং- ১৫৯, খাতিয়ান নং- ৩৬২ এবং ১০৩২নং মৌজার ৮০ শতক কবরস্থান রকম ভূমি নিয়ে দীর্ঘদীন ধরে দুইপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারী বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এনামুল হক চৌধুরী গংদের পারিবারিক কবরস্থান সংস্কার করার জন্য লোক পাঠান তারা। এ সময় একই গ্রামের আব্দুস শহীদের পুত্র আব্দুল গণি, মৃত ছুরত উল্লার পুত্র ফরিদ উল্লা ও মৃত গরীব উল্লার পুত্র আব্দুল হান্নান গং মিলে এনামুল হক চৌধুরীর ও তার লোকদের নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। কবরস্থান সংস্কার করতে গেলে একপর্যায়ে মারমূখী আচরণ করে এনামুল হক চৌধুরীর লোকদের প্রাণে হত্যার হুমকি দামকি দেখিয়ে কবরস্থান থেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে দেয়। পরবর্তীতে এনামুল হক চৌধুরী বিষয়টি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করলে তারা বিচার-শালিসের চেষ্টা করেও ব্যার্থ হন। তারা অন্যায় ভাবে এলাকার বিচার শালিস না মেনে প্রচার করতে থাকে পারিবারিক কবরস্থান কাজ করলে এনামুল হক চৌধুরীর পরিবারকে খুন জখম ও হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দামকী দেয় প্রবাশালীরা। এমতাবন্থায় এনামুল হক চৌধুরী ও তার পরিবার আতংকের মধ্যে দিন পার করছেন। এ বিষয়ে এনামুল হক চৌধুরী বলেন তারা দাঙ্গাবাজ ও লাঠিয়াল প্রকৃতির লোক, বিচার-শালিস মানে না, গায়ের জোরে যা ইচ্ছা তা করে বেড়ায়। তাদের ধারা খুন-জখম হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেছি এবং আমি প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগিতা চাই।


     এই বিভাগের আরো খবর