,

কাপড়ের দোকান থেকে দা কোদাল ও ঝাড়ু কেনার ভাউচার

মাধবপুর গোপীনাথপুর প্রাইমারি স্কুলে স্লিপের টাকায় গড়মিল

রাজীব দেব রায় রাজু, মাধবপুর : মাধবপুর উপজেলার গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লিপের টাকায় গড়মিল পাওয়া গেছে। আবার অনেক কাজের ভাউচার দেখাতে পারেনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনা মান নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে। সরজমিন গোপীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় বিদ্যালয়ের মাঠটি কর্দমাক্ত। মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থী রয়েছে বিদ্যালয়ে। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জাতীয় দিবস সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষার্থীরা কোন উত্তর দিতে পারেনি। ২১শে ফেব্রুয়ারী কি দিবস, ১৬ই ডিসেম্বর কি দিবস এই প্রশ্ন গুলোর উত্তরও দিতে পারেনি শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে প্রবেশ করতেই দেখা যায় দেয়ালে লাগানো ঘড়ির সময় টিক নেই। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলীর নিটক বিদ্যালয়ের স্লিপের টাকার খরচের হিসাব চাইলে তিনি কিছু ভাউচার দেখান। নাম মাত্র কিছু ভাউচার দেখালে ও ভাউচার গুলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া একটি প্রতিষ্টান থেকে নেওয়া। ক্রিয়েটিভ ক্লথ এন্ড টেইলার্স নামে একটি দোকানের ভাউচারে দেখা গেছে সেখান থেকে দা, কোদাল ,ফুল ঝাড়- ক্রয় করেছেন প্রধান শিক্ষক। কাপড়ের দোকানে দা, কোদাল, ফুল ঝাড়ু কিনার ভাউচার দেখে সহজেই বুজা যায় ভাউচার টি কতটা সঠিক। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যাক্তি জানান, মাধবপুর উপজেলার এত দোকান থাকতে প্রধান শিক্ষক ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কেন জিনিসপত্র ক্রয় করলেন তা বুজে আসে না। বঙ্গবন্ধু কর্নার ও শেখ রাসেল কর্নার তৈরী করার খরচ দেখালেও বাস্তবে ওই বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার , শেখ রাসেল কর্ণার চোখে পড়েনি। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলী জানান, বঙ্গবন্ধু কর্নার ও শেখ রাসেল করা হবে। সে গুলোর অর্ডার দেওয়া হয়েছে। পড়াশুনার মান খারাপ কেন জানতে চাইলে তিনি জানান, এতদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা সব কিছু ভুলে গেছে। ঘড়ি সময় সঠিক নেই কেন জানতে চাইলে তিনি জানান বিদ্যালয় ছুটির পর মাত্র খোলা হয়েছে। ঘড়ির ব্যাটারি হয়ত খারাপ হয়ে গেছে । ব্যাটারি লাগানো হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর