,

হবিগঞ্জ শহরে সিডিউল ছাড়াই ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং

জুয়েল চৌধুরী : হবিগঞ্জ শহরে সিডিউল ছাড়াই ২৪ ঘণ্টায় ৮ ঘণ্টা থাকে লোডশেডিং। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘন ঘন বিদ্যুত আসা যাওয়ার কারণে ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ মূল্যবান ইলেক্ট্রনিক্স সামগ্রী নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন লোডশেডিং হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু অবৈধ টমটম গ্যারেজ বন্ধ করা হচ্ছে না। গ্যারেজের কারণেই বিদ্যুত ঘাটতি দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ টমটম গ্যারেজে প্রায় ১ হাজারেরও বেশি টমটম চার্জ দেয়া হয়। বিদ্যুত কর্তৃপক্ষ এসব জানার পরও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। যদিও লোক দেখানো মাত্র মাঝে মাঝে অভিযান চালিয়ে কয়েকটি টমটমের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। আবার মোটা অংকের টাকা নিয়ে রাতের আঁধারে এসব গ্যারেজে সংযোগ দিয়ে দেন। গত কয়েকদিন ধরে সরকারের নির্দেশ হলো, ২৪ ঘন্টায় প্রতি এলাকায় ৫ ঘণ্টা করে বিদ্যুতের লোডশেডিং চলবে। কিন্তু এখন দেখা যায়, ঘন্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং দেয়া হয়। কোনো সিডিউল নেই। অথচ কাগজে সিডিউল রয়েছে কখন কোথায় লোডশেডিং করা হবে। গত শনিবার ২৩ জুলাই রাত ৮টার দিকে সদর হাসপাতালে বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলী এমপির সাথে হাসপাতাল কমিটির সভাকালে ২ ঘণ্টা বিদ্যুত বিহীন ছিলো। রাত ৮টার পর সারাদেশে দোকানপাট, শপিংমল, হোটেল ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং অপ্রয়োজনীয় আলোকসজ্জা বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা মানছেন না অনেকেই। হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সাইনবোর্ডে লাইট জ্বলতে দেখা গেছে।


     এই বিভাগের আরো খবর