,

নবীগঞ্জে বিরোধপূর্ণ ভুমি দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আটক ২ ॥ শহরে উত্তেজনা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে একটি বিরোধপূর্ণ ভুমি দখলকে কেন্দ্র করে রবিবার মধ্যরাতে শহরে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় পুলিশ ভুমির মালিকানা দাবীদার আব্দুস শহীদ (সাহিদ মিয়া) ও তার চাচাতো ভাই আব্দুল মুকিতকে ৫৪ ধারায় জেল হাজতে প্রেরন করে। পরে গতকাল বিজ্ঞ আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। শালিসের আওতায় থাকা বিরোধপুর্ণ ভুমিতে ঘর নির্মাণের ঘটনায় উভয় পক্ষের লোক ও গ্রামবাসীর মধ্যে চরম উত্তেজনা ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তয়ী সংঘর্ষের আশংখ্যা করছেন এলাকাবাসী। স্থানীয় সুত্রে জানাযায়, চরগাওঁ  গ্রামের মৃত শেখ মনর মিয়া প্রায় ২০ বছর পুর্বে নবীগঞ্জ জে.কে হাইস্কুল চৌমুহনীতে ভুমি ক্রয় করে ঘর নির্মাণ করে শাহজালাল হোটেল নামে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। সম্প্রতি বিলেত ফেরত মৃত শেখ মনর মিয়ার ছেলে শেখ সরাজ মিয়া ও শেখ সাইদুল হক উক্ত হোটেল ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণের চেষ্টা কালে আব্দুস শহীদ (সাহিদ মিয়া) বাধা দেন। এনিয়ে উভয়ের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়। এতে উভয় পরে মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। উভয় পক্ষই রাত জেগে পাহাড়া দিতেন, কেউ ঘর বানাতে কেউ বাধা দিতে। এ অবস্থায় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার্থে প্রায় ১৫/২০ দিন পুর্বে নোটিশ প্রদান করেন। এর প্রেক্ষিতে শহরের আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিরোধ মিমাংসায় স্থানীয় সংসদ সদস্য এম.এ মুনিম চৌধুরী বাবু, উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী ও পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলামের সমন্বয়ে উপজেলা হল রোমে একটি শালিস বৈঠক বসে। অনুষ্টিত শালিস বৈঠকে বিরোধ মিমাংসায় সংসদ সদস্যকে প্রধান করে ১১ সদস্য বিশিষ্ট একটি শালিস বোর্ড গঠন করা হয়। উক্ত বোর্ড সদস্যগণ বসে উভয় পক্ষের বিরোধ মিমাংসার জন্য গত রবিবার উভয় পক্ষকে নিয়ে বসার তারিখ নির্ধারণ করেন। কিন্তু হরতালসহ নানা সমস্যার কারনে গেল শুক্রবার তারিখ পরিবর্তন করে আগামী ৭ই নভেম্বর নির্ধারণ করেন। এ অবস্থায় রবিবার গভীর রাতে সাইদুল হকের লোকজন বিরোধপূর্ণ জায়গায় ঘর নির্মাণের প্রস্ততি নেয়। খবর পেয়ে আব্দুস শহীদ (সাহিদ মিয়া)  তার লোকজন নিয়ে ঘঁটনাস্থলে অবস্থান নেন। রাত সোয়া ১ টার দিকে থানার ওসি মোঃ লিয়াকত আলী এ.এস.আই রুহুল আমীন’র মাধ্যমে সাহিদ মিয়াকে থানায় ডেকে আনেন। সাহিদ মিয়া ওসির ডাকে সারা দিতে তার চাচাতো ভাই আব্দুল মুকিত মিয়াকে নিয়ে থানায় গেলে তাদের কে আটক করা হয়। রাত পৌনে ২ টার দিকে থানার একদল পুলিশ এসে উভয় পক্ষের লোকজনকে ঘটঁনাস্থল থেকে বিতারিত করে দিলে রাত ২ টার দিকে আবারও উভয় পক্ষের লোকজন জড়ো হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। শহর উত্তোপ্ত হয়ে উঠে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করে। এদিকে গতকাল সোমবার দিনব্যাপী এ ঘঁটনাকে কেন্দ্র  করে শহরে চরম উত্তেজনা ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছিল। সাহিদ মিয়া তার লোকজন নিয়ে বিরোধপুর্ণ ভুমিটি পুণঃউদ্ধারের চেষ্টা করতে পারেন বলেও আভাস পাওয়া গেছে। ফলে যে কোন সময় নবীগঞ্জে একটি বড় ধরনের সংঘাত বা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংখ্যা করছে শহরবাসী।


     এই বিভাগের আরো খবর