শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ধর্ষণের শিকার হয়েছেন (১৯) বছরের এক তরুনী। অসুস্থ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার বাখরপুর (মেরাশানী) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে । জানাযায়, ওই গ্রামের মৃত আলীমুদ্দিনের কণ্যা বিদ্যুত না থাকায় গরমে অতিষ্ট হয়ে ঘরের দরজা খোলে ঘরের ফ্লোরে শুয়ার চেষ্টা করে। খাটের উপর তার ছোট দুই ভাইবোন ঘুমিয়ে থাকে। পাশের ঘরে রাতে মিলাদ থাকায় একই গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদ খানের ছেলে টমটম চালক আফজল খান ওই সময় ঘরের দরজা খোলা দেখে মিলাদে না গিয়ে ওই তরুনীর ঘরে প্রবেশ করে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। তরুনী পুরোপুরি ঘুমিয়ে গেলে সুযোগ বুঝে আফজল খান তাকে ঝাপটে ধরে। এসময় তার মুখ বেধে জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে ধর্ষক পালিয়ে যায়। পরে অসুস্থ্য অবস্থায় তার চাচাকে ডাক দিলে লোকজন জরো হয়। ভোর বেলায় তাকে নিয়ে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ৫ ভাই বোনের মধ্যে ওই তরুনী দ্বিতীয়। অভাবের তাড়নায় তার মা সিলেটে দিন মজুরের কাজ করেন। বড় ভাই প্রাণ আরএফলে কর্মরত আছে বলে প্রতিবেশিরা জানায়।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. সারোয়ার হোসেন খান বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে শায়েস্তাগঞ্জের এক মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, বর্তমানে তার অবস্থা ভালো। পরিক্ষা নিরিক্ষার পর জানা যাবে সে ধর্ষণ হয়েছে কি না।
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক কামাল বলেন এ ঘটনায় এখনো কোন অভিযোগ পাইনি। তারপরেও আমি আইনি কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি। ইতিমধ্যেই আমার টিম ওই গ্রামে অবস্তান করছে। অভিযুক্ত কে ধরতে অভিযান চলছে।