,

নিহতের বাড়ি দাউদপুরে চলছে শোকের মাতমসৌদি আরবে মর্মান্তিক সড়ক দূর্ঘটনায় নবীগঞ্জের ইলিয়াছসহ ৫ জনের মৃত্যু

এম.এ আহমদ আজাদ ॥ ভাগ্যের চাকা পরর্বিতন করতে গিয়ে সৌদি আরবে সড়ক দূর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন নবীগঞ্জের হতভাগা শ্রমিকসহ ৫ জন । তার মৃত্যুতে শোকের মাতম চলছে নবীগঞ্জের দাউদপুর গ্রামে। টাকার অভাবে তার লাশ আসবে না দেশে। তাই বৃদ্ধ মা রাজ বিবি’র কান্না থামছে না। আমার মরনের আগে আমার ছেলের লাশ দেখতে পাইলাম না…“কে আছো গো আমার সোনার চাঁনরে(ছেলে) দেখাও আইন্না একবার” এই বলে বার বার মূর্চা যাচ্ছেন তিনি। জানাযায়, প্রায় ৫ বছর পূর্বে নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাঁক ইউনিয়নের দাউদপুর গ্রামের মৃত রয়মান উল্লার পুত্র কৃতি ফুটবলার ইলিয়াছ মিয়া (৩৫) ভাগ্যের অন্যেষনে সৌদি আরব যান। একবছর পূর্বে সে দেশে এসে আবার সৌদি আরব যান। গত বুধবার বিকালে সৌদি আরবের আদম শহরে কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় দুটি নোহা পরিবহনের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৫ জন প্রাণ হারান। এর মধ্যে দুই বাংলাদেশীসহ একজন সৌদি আরবের, একজন পাকিস্তানের ও একজন ইয়ামেনের নাগরিক। গতকাল এ সংবাদ ইলিয়াছের বাড়িতে আসলে কান্নার রোল উঠে। ইলিয়াছের এক বন্ধু ফোনে তার বাড়িতে এ খবর জানান। এ সময় তিনি বলেন, ইলিয়াছের সাথে ফেঞ্চুগঞ্জের খছরু মিয়া নামে আরো একজন মারা গেছেন। তিনি আরো বলেন, ইলিয়াছের লাশ বাংলাদেশে পাঠাতে অনেক টাকা খরচ হবে তাই সৌদি আরবে দাফন করা হবে। এ ব্যাপারের ইলিয়াছের মা মারাজ বিবি জানান, আমার মরনের আগে আমার ছেলের লাশ দেখতে পাইলাম না…“কে আছো গো আমার সোনার চাঁনরে(ছেলে) দেখাও আইন্না একবার” এই বলে বার বার মূর্চা যাচ্ছেন তিনি। তিনি বলেন আমার বাবার টাকা নাই তার লাগি লাশ দেশে আইতো নায়। আমরা এখন কি করমু কান্না ছাড়া উপায় নাই…সরকার আমার ছেলেরে আইন্না দেখাতো…কে শোনবো আমরা কথা,,? কেউ আছেনি গো আমার সোনার চাঁনরে একবার দেখাও…আইন্না,,,এভাবে মারাজ বার বার আকুতি করছেন। মৃত ইলিয়াছ মিয়া স্ত্রী ২ ছেলে ২ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে মারা যান। মরহুমরে জন্য সবার নিকট দোয়া চেয়েছেন তার আত্বীয় স্বজন। নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, আজ সৌদি আরবে ইলিয়াছের লাশ দাফন করার কথা রয়েছে।


     এই বিভাগের আরো খবর