,

মাধবপুর ও নবীগঞ্জে ৪ যৌতুকলোভী স্বামীকে কারাদণ্ড

জুয়েল চৌধুরী : মাধবপুর ও নবীগঞ্জে ৪ যৌতুকলোভী স্বামীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী। একদিনে ৪টি পৃথক মামলার রায় দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তিনি। বিচার প্রার্থী ও আইনজীবিরা এরকম দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করায় তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি মোঃ মোস্তফা মিয়া। আসামি পক্ষে ছিলেন, এডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন, কামাল আহমেদ, এসএম জয়নাল আবেদীন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
পেশকার ফজলু মিয়া জানান, মাধবপুর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের আলী আজমের কন্যা কুহিনুর আক্তারের নিকট এখতিয়ারপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের পুত্র তার স্বামী মামুনুর রশীদ ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। সে অপারগতা প্রকাশ করলে যৌতুকের জন্য ২০১৮ সালের ১৫ এপ্রিলে তাকে পিটিয়ে আহত করে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় একই বছরের ১২ জুন কুহিনুর বাদি হয়ে মামলা করেন। স্বাক্ষি প্রমাণ শেষে মামুনুরকে ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
এদিকে একই উপজেলার রামপুর গ্রামের আবিদ আলীর কন্যা নাজিরা খাতুনের নিকট সদর উপজেলার ব্রাহ্মণডুরা গ্রামের মুসলিম চৌধুরীর পুত্র তার স্বামী মারুফ চৌধুরী ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর ১ লাখ টাকা যৌতুকের দাবি মারপিট করে তাকে পিত্রালয় পাঠিয়ে দেয়। এ ঘটনায় নাজিরা খাতুন বাদি হয়ে মামলা করেন। এ ছাড়া হরিশ্যামা গ্রামের আবু মিয়ার কন্যা আছমা খাতুনের নিকট নাসিরনগর উপজেলার সটিপাড়া গ্রামের মফিজ মিয়ার পুত্র আছমার স্বামী এমরান মিয়া ২০১৫ সালের ১৪ অক্টোবর ২ লাখ টাকা যৌতুক চেয়ে তাকে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় আছমা বাদি হয়ে এমরানের বিরুদ্ধে মামলা করে। তাকে আদালত ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
অপরদিকে নবীগঞ্জ উপজেলার সদরঘাট গ্রামের মারফত উল্লার কন্যা ফুলন আক্তার বেবিকে নিকট বানিয়াচং উপজেলার ইছবপুর গ্রামের ধলাই মিয়ার পুত্র তৌফিক মিয়া ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল ১ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে মারপিট করে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় বেবি বাদি হয়ে তৌফিকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। স্বাক্ষি প্রমাণ শেষে আদালত তাকে ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। রায় প্রদানকালে তৌফিক, মারুফ চৌধুরী ও এমরান মিয়া পলাতক ছিলো। তবে মামুনুর রশীদ আদালতে উপস্থিত ছিলো। তাকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। প্রত্যেক মামলার বাদি ন্যায় বিচার পেয়েছেন বলে আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করেন।

 


     এই বিভাগের আরো খবর